চট্টগ্রাম: চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে গ্রামবাসীর যাতায়াতের সুবিধার জন্য একটি রাস্তায় ইটের সলিং করা হয়। কিন্তু এর সাতদিন যেতে না যেতেই রাস্তার ইটগুলো তুলে ফেলে স্থানীয় একটি পক্ষের লোকজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্প কাবিটার আওতায় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিদ্যা বাড়ির একটি অংশের রাস্তার ওপর এ ইটের সলিং করা হয়েছিল। গত ১৪ এপ্রিল স্থানীয় কয়েকজন সড়কে বিছানো ইটগুলো উপড়ে ফেলে। এ ইট তোলা কাজে বাধা দেওয়ার তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের মারামারির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় । সরকারি কাজে যারা বাধা দিয়েছেন তারাই মামলা দেওয়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করে স্থানীয়রা।
ওই রাস্তাটি গ্রামবাসীর একটি যাতায়াতের পথ। বর্ষাকালে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এজন্য যাতায়াতের সুবিধার্থে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সড়কটির জন্য ইট সলিংয়ের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, একটি রাস্তার ওপর ইট সলিং হয়েছিল। সলিং এর সাতদিন পরে ইটগুলো তুলে ফেলে কয়েকজন। এ ঘটনায় স্থানীয় দুই পক্ষের মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
এক নম্বর কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল শুক্কুর কোম্পানি বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তা সংস্কার হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন পরে ইট উপড়ে ফেলা হয়েছে। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সমাজের সব শ্রেণির লোকের মতামতের ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়, যাতে কেউ মারা গেলে মরদেহ কবর দিতে দুর্ভোগ না হয়। কিন্তু ইটগুলো উপড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এটা নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আমরা পারিবারিকভাবে সেটা সমঝোতার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি