চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের উপনির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে চারজনই জামানত হারিয়েছেন। নিয়মানুযায়ী মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৯ হাজার ৪১৩ ভোট থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হতো তাঁদের।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, ইসলামিক ফ্রন্টের এস এম ফরিদ উদ্দীন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কামাল পাশা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী।
ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৯৫২ জন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বৈধ ভোট পড়েছে ৭৫ হাজার ৩০৫ ভোট। বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ হলো ৯ হাজার ৪১৩ ভোট। ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য চার প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্টের এস এম ফরিদ উদ্দীন পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কামাল পাশা পেযেছেন ৬৭৩ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী পেয়েছেন ৪৮০ ভোট। তাই বিধি অনুযায়ী এই চার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ভোটের আগে প্রত্যেক প্রার্থীকে ২৫ হাজার টাকা করে জামানত রাখতে হয়। নিয়মানুযায়ী মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে ওই প্রার্থীর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। সেক্ষেত্রে এ নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী ছাড়া বাকি চার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী নির্বাচনি ফলাফল সংগ্রহ ও তথ্য পরিবেশ কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। নোমান আল মাহমুদ পেয়েছেন ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট। এ আসনে ভোট ৫ লাখ ১৭ হাজার ৯৫২টি। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ৭৫ হাজার ৩০৫টি। ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। কেন্দ্র ছিল ১৯০টি। এ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ গত ৬ ফেব্রুয়ারি মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি