চট্টগ্রাম: শস্যভাণ্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলের তিনটি অংশে পাকা বোরো ধান কাটছেন কৃষকরা। ধানের আশানুরূপ ফলন হওয়ায় তারা খুশি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে গুমাইবিলে হাইব্রিড জাতের ছক্কা, টিয়া, সুরভী-১, তেজগুল্ড, হিরা-২, হিরা-৬, ইস্পাহানি -৮, সিনজেন্টা ১২০৩ এবং ১২০৫, জনক রাজ, উফশী জাতের ব্রি ধান ৮৮, ২৯, ৭৪, ৮৪, কাটারী জাতের ধানের আবাদ হয়েছে।
দেখা গেছে, গুমাইবিলে ব্রি ধান ৮৮ জাতের চাষাবাদ বেশি হওয়ায় কৃষকরা বোরো ধান কাটতে পারছেন। ইতিমধ্যে চন্দ্রঘোনা, মরিয়মনগর, ব্রহ্মোত্তর অংশে এ জাতের ধান কাটা শুরু করেছেন তারা।
মরিয়মনগরের কৃষক মো. ফরিদ উদ্দীন বলেন, ৬০ কানি জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। যার বেশিরভাগই ব্রি ধান ৮৮। ইতিমধ্যে ১০ কানি জমির ধান কেটেছি। ফলন কানিপ্রতি ১ মেট্রিক টন। এ ধান সরু হওয়ায় বাজারমূল্যও বেশি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, কৃষকদেরকে বোরো ধান চাষে ব্রি কর্তৃক উদ্ভাবিত ব্রি ধান ৮৮, ৯২ সহ হাইব্রিড ধান চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করেছি। কৃষকরা এ জাতগুলো এবার বেশি চাষাবাদ করেছেন। ব্রি ধান ৮৮ জাত অন্যান্য জাতের চেয়ে ৭–১০ দিন আগাম হওয়ায় এখন গুমাইবিলে এ জাতটির ধান কাটা শুরু হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। এবারও ধানের উৎপাদন বরাবরের মতো রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২৩
এমআর/টিসি