চট্টগ্রাম: আট বছর আগের বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) চট্টগ্রাম জেলার সাবেক কমান্ডার এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয় হয়।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্তি মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞার আদালত এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি এরশাদ দিনাজপুরের সরকার পাড়া গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে।
একই মামলায় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অন্য তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন- বুলবুল আহমেদ ফুয়াদ (২৬), মো. সুজন (২৪) ও মাহবু্বুর রহমান খোকন (৩৫)।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. নোমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ নগরের আকবরশাহ থানার এনআর স্টিল মিলের সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।
ওই বাসা থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, জিহাদী বইসহ এরশাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযানের সময়ে অন্য আসামিরা পালিয়ে যান। এই ঘটনায় আকবর শাহ থানায় উপ পরিদর্শক শহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই বছরের শেষের দিকে কর্ণফুলী থানায় এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে অন্য তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের আকবর শাহ থানার এই বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
পরে ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল চারজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করে আদালত।
চলতি বছরের ১১ এপ্রিল এই মামলায় যুক্তি-তর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার (৯ মে) সময় নির্ধারণ করেছিল আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৩
পিডি/টিসি