চট্টগ্রাম: ক্যালসিয়াম কার্বনেট আমদানির ঘোষণায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসা তিন কনটেইনারের একটি চালানে ১৭ লাখ পিস পেন্সিল ব্যাপারি ও ১৮ টন তালা পাওয়া গেছে। এ চালানে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছিল বলে ধারণা কাস্টমস কর্মকর্তাদের।
সূত্র জানায়, দক্ষিণ কেরানিগঞ্জের হ্যান্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে চীন থেকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঘোষণায় গত ৫ মে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এরপর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চট্টগ্রামের ফকিরহাটের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শামিম এন্টারপ্রাইজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।
সোমবার (৮ মে) কনটেইনার তিনটি এনসিটি ইয়ার্ডে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এ সময় প্রতি কনটেইনারে ২২টি কাঠের প্যালেটের ওপর ক্যালসিয়াম কার্বনেট (পাউডার) ভর্তি ২২টি বড় জাম্বু ব্যাগ পাওয়া যায়। ব্যাগগুলোর চারদিকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট ছিল যাতে সন্দেহের উদ্রেক না হয়। পরে কর্মকর্তারা ব্যাগগুলো কেটে লুকানো কিছু কার্টন পান। তার ভেতরে বিভিন্ন সাইজের পেন্সিল ব্যাটারি ও তালা পাওয়া যায়।
এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক বাংলানিউজকে জানান, তিন কনটেইনারে ১৭ লাখ পিস পেন্সিল ব্যাটারি ও প্রায় ১৮ টন তালা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ৫ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছিল এ চালানে।
কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, মানি লন্ডারিংয়ের মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ডেপুটি কমিশনার। একই সঙ্গে রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৩
এআর/টিসি