চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ‘নোংরা কাজের’ দোহাই দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মারজান পদত্যাগ করেছেন। চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেলে শাখা ছাত্রলীগের প্যাডে আবু সাঈদ মারজান নিজেই স্বাক্ষর করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পদত্যাগপত্রে বলা হয়, চবি ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঘাম এবং রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিটের ভাবমূর্তি দুইজন ব্যক্তির (সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু) ক্রমাগত নোংরা কাজের কারণে নষ্ট হচ্ছে।
চবি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি নানা সময়ে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে এবং এই কমিটির সর্বোচ্চ পদধারীরা ব্যক্তিগত কারণে নেতিবাচক ভাবে বারবার সমলোচিত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় আমি স্বেচ্ছায় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করছি।
আবু সাঈদ মারজান বাংলানিউজকে বলেন, কমিটি গঠনের শুরু থেকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিত কাজ করে যাচ্ছে। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাদের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের ছাত্রত্ব নেই। তবুও নতুন কমিট গঠনের উদ্যোগ নেই। তাই স্বেচ্ছায় এ কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি।
চবি ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, পদত্যাগ করা একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার পর আমি তাকে কখনো কোনো মিছিল মিটিংয়ে দেখিনি। বলা যায় নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছি, তাই অনেক ষড়যন্ত্র হবে এটাই স্বাভাবিক। কেউ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করতে না পারলে ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে নোংরামি করার চেষ্টা করবে। তবে আমি বলবো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৩
এমএ/টিসি