চট্টগ্রাম: ব্যবসায়ী গোলাম আজাদকে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালত এ আদেশ দেন।
এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে চন্দনাইশের জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ রোকনকে। এছাড়া অন্য আসামিরা হলেন আবু আহমেদ জুনু, মমতাজ, হাকিম মেম্বার, ফারুক ইসলাম টিপু।
বাদী পক্ষে মামলার শুনানি করেন অ্যাড. আবুল কালাম শামসুদ্দিন ও অ্যাড. বজলুর রশিদ মিন্টু।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ৭ মে রাত নয়টার দিকে ব্যবসায়ী গোলাম আজাদ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে চন্দনাইশের নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজা অতিক্রম করার সময় চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ রোকন ও আবু আহমেদ জুনুর নেতৃত্বে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফিল্মি কায়দায় ভিক্টিমমের গাড়ি আটকে হামলা ও মারধর করার পর গাড়িসহ জোর করে নিয়ে যায়। বাদীকে অপহরণ এর পর চোখ বেঁধে আমিন আহমদ রোকনের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে নিয়ে তাকে বিভিন্ন হুমকি দেওয়া। রোকন চেয়ারম্যান ও আবু আহমেদ জুনু সহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী মমতাজ, হাকিম মেম্বার, ফারুক টিপু সহ আরো অনেকে মিলে বাদীকে বেধড়ক মারধর করে। চেয়ারম্যানের খুন ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, পাহারকাটা সহ বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে জীবননাশের হুমকি দেয়।
বাদীর আইনজীবীরা জানান, স্বজনরা ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ তাৎক্ষণিক তৎপরতা শুরু করায় অপহরণকারীরা বাদীকে মেরে ফেলতে পারেনি। পুলিশ আসার খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এছাড়াও কর্ণফুলী টোল প্লাজায় ফিল্মি কায়দায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ অপহরণ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ কয়েকটি জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারের পর এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
আইজীবীরা আরও জানান, সম্প্রতি গৃহকর্মী রুনাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে রোকন ও অন্য আসামিরা আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
পিডি/টিসি