চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি, সিসিটি, জিসিবিসহ বন্দর চ্যানেলের সব জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দিয়েছে। বন্দর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজও কালুরঘাট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত এলাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৩ মে) ভোর ৪টা থেকে জেটি শূন্য করার কাজ শুরু করে বন্দরের মেরিন বিভাগ। ২০টি জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয় বিভিন্ন জেটি থেকে।
এ সময় বন্দরের অভিজ্ঞ পাইলটরা টাগবোটের সহায়তায় একে একে জাহাজগুলো বহির্নোঙরে পৌঁছে দেন। কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার থাকাবস্থায় সকাল সাতটা পর্যন্ত অপারেশন চলে। বিকেলের জোয়ারে পতেঙ্গা ওয়াটারবাস জেটিতে অবস্থানরত বে ওয়ান, ৭ নম্বর জেটিতে থাকা MV NEGAR, ও ১০ নম্বর জেটির MV LOTSE নামের তিনটি জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কতা সংকেত অনুযায়ী বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছে। এর ফলে জাহাজ থেকে পণ্য, কনটেইনার লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে গেছে। কিউজিসিসহ জেটির হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট নিরাপদে রাখতে প্যাকিং করে রাখা হচ্ছে। বন্দরের মেরিন, নিরাপত্তা, ট্রাফিক ও সচিব বিভাগের পৃথক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্দর ভবনে দফায় দফায় জরুরি সভা চলছে।
বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল, ইয়ার্ড ও শেডে পণ্য ও কনটেইনার ডেলিভারি কার্যক্রম চলছে। তবে কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে ডেলিভারি বন্ধ করে হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট নিরাপদে রাখতে প্যাক করা হবে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, বন্দর চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানলে বন্দরের চ্যানেল, জেটি, হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট, আমদানি-রপ্তানি পণ্য নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০টি জাহাজ জেটি থেকে সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর ৪০০ লাইটার জাহাজকে বন্দরের উজানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ (আপডেট: ২১০৪) ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এআর/টিসি