ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রয়োজনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণকে সরিয়ে নেবে প্রশাসন: মেয়র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
প্রয়োজনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণকে সরিয়ে নেবে প্রশাসন: মেয়র

চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে মানুষের জান-মাল বাঁচাতে সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে সরকারি-বেসরকারি একাধিক সংস্থা ।

শনিবার (১৩ মে) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে মেয়রের নেতৃত্বে প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা যৌথসভায় বসেন।

সভায় মোখা মোকাবিলায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং করণীয় তুলে ধরেন তারা।  

এর আগে সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরের দামপাড়ায় চসিক বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ ভবনের নিচ তলায় খোলা কন্ট্রোলরুম পরিদর্শন করেন।

এরপর মেয়র পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, আজমল আলী ঘাট, রাসমনি ঘাট সহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং বিকেল পাঁচটার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে পর্যটকসহ সব মানুষকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।  মেয়র হালিশহর বেড়িবাঁধে খালের একটি কাটা অংশে জোয়ারের পানি জনবসতিতে ঢুকে পড়ার ঝুঁকি থাকায় সে অংশে স্কেভেটর দিয়ে ভরাট করে দেওয়ার চলমান কাজ তদারকির পর লিংক রোডের পাশে  স্লুইসগেট এলাকা পরিদর্শন করেন ।

সভায় মেয়র বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার জন্য দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত জারির সঙ্গে সঙ্গে আমরা সভা করে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছি। সকাল থেকে সার্বিক পরিদর্শনে মনে করি মোখা মোকাবিলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রস্তুত।  

‘ভোর থেকে ৭টি যানবাহনে করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ত্যাগ করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরে যাওয়ার জন্য আমি নিজেও মাইকিং করেছি। প্রয়োজনে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্তি প্রয়োগ করে হলেও ঝুঁকিপূর্ণ জনগণকে সরিয়ে নেবে। কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিচ্ছি আপনারা স্ব-স্ব থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকা মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। ’ বলেন মেয়র।

চসিকের প্রস্তুতি সম্পর্কে মেয়র জানান, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মানুষকে তথ্য সেবা দেয়ার পাশাপাশি ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ৫০টি মেডিক্যাল টিম আর দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকেও প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

জেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্ট আর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা চট্টগ্রামবাসীকে এ দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে দিন-রাত পরিশ্রম করে সাহায্য করছে।  

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদসহ প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ, চসিকের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা প্রধান এবং জেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্ট আর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩ 
এআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।