চট্টগ্রাম: তৃণমূল আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবহেলা করছেন বলে মন্তব্য করেছে চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক।
সম্প্রতি বাঁশখালীতে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আয়োজিত এক ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠান তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মৌলভী ছৈয়দের ভাই মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীর মৃত্যুর পর যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি তার জন্য আমরা প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ছিলাম। সেখানে হামলা চালানো হয়েছিল।
বাঁশখালীর সাংসদের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, এখন উনি মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করছেন। এমপি সাহেব ১০ বছরের কাছাকাছি ক্ষমতায় ছিলো, কোন মুক্তিযোদ্ধাকে ডেকে চা খাওয়াতে দেখি নাই। ২৬ মার্চ আসার আগে ১৬ ডিসেম্বরের সমস্যাটা সমাধান করা উচিত ছিল। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ৩০লক্ষ শহীদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। দেশব্যাপী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অথচ একইভাবে ২০১৮ সালে বাঁশখালীর এমপি পটিয়ার জনসভায় মুক্তিযুদ্ধে তিন লক্ষ শহীদ হয়েছে বলে সাত মিনিট বক্তব্য রাখেন। যা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হন। সেদিন চিৎকার করে বলেছিলাম বাঁশখালীর এমপি ইতিহাস বিকৃতি করেছেন। মোস্তাফিজুর রহমান সাহেব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে নিয়েও কটুক্তি করেছেন। কাদের ভাইও একজন মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ না করে আওয়ামী লীগ হওয়া যায় না জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী। আওয়ামী লীগের এমপি হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান না করলে সে মুক্তিযুদ্ধ বিদ্বেষী মানুষ হিসেবে চিহ্নিত হবে। আর মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী হলে সে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের কেউ হতে পারে না।
বাঁশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আহমদ ছফা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে একত্রিত থাকতে হবে। নয়তো যারা ধিক্কার দিচ্ছে, যারা ফাটল সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এটা যতবড় রাজনৈতিক নেতা হোক, এমপি হোক আমরা কারো কাছে জিম্মি না। সুতরাং আমাদের ঐক্য কখনো ফাটল হবে না। কেউ আমাদের ঐক্য ভাঙতে পারবে না।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি ও থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সল জামিল চৌধুরী সাকির পরিচালনায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধারা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এমআর/টিসি