কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়ার বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দা আমান উল্লাহ। সেখানে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করছেন তিনি।
তিনি বলেন, দইজ্যা খারাপ অইগিয়ে (সমুদ্র খারাপ হয়ে গেছে)।
বেড়িবাঁধ দিয়ে হেঁটে একটু সামনে আসতে দেখা যায়, এক পরিবার ঘরে অবস্থান করছে। সেখানে পরিবারের কর্তা আব্দুর রশিদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। ভোরে এসেছি ভাত খাওয়ার জন্য। তরকারি ও ভাত রান্না হচ্ছে। খাওয়া-দাওয়া শেষে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাব।
দেখা গেছে, একাধিক পরিবার বেড়িবাঁধের সঙ্গে লাগোয়া ঘরগুলোতে অবস্থান করছেন। তারা জানিয়েছেন, বাতাস ও বৃষ্টির গতি বাড়লে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন। উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে কি করবো? ঘরে আরামে আছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর শুক্কুর বাংলানিউজকে বলেন, হালকা বৃষ্টি ও হালকা বাতাস থাকলে মনে হচ্ছে না, বড় ধরনের ক্ষতি হবে। মাঝের পাড়া এলাকায় যাদের আর্থিক অবস্থা ভাল, এই রকম কয়েকটি পরিবার টেকনাফ চলে গেছে। আমরাও আশ্রয়কেন্দ্রে যাবো বাতাস ও বৃষ্টির অবস্থা বুঝে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কেন্দ্রে বাতাসের গতি বাড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন এর কেন্দ্রের গতিবেগ ২১০ কিলোমিটার। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে মোখা কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, মোখা সুপার সাইক্লোন হওয়ার আশঙ্কা কম। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২২
এমআই/টিসি