চট্টগ্রাম: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রজননের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটারসমুহ অনুকূলে না আসায় ইতোমধ্যে তিনটি জোঁ অতিক্রম হলেও এখনো বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ নামে পরিচিত হালদা নদীতে দেখা মিলছেনা কাঙ্ক্ষিত ডিমের।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে বাংলানিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।
হালদা নদীর উপর পিএইচডি অর্জনকারী এই গবেষক বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে লবণাক্ততাসহ অন্যান্য প্যারামিটার সমুহ আদর্শ মানের মধ্যে ফিরে আসবে এবং অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে হালদায় ডিম ছাড়বে কার্পজাতীয় মা মাছ। মঙ্গলবার (১৬ মে) থেকে শুরু হচ্ছে, মা মাছের ডিম ছাড়ার চতুর্থ জোঁ (অমাবস্যার) যা (২১ মে) পর্যন্ত চলবে।
চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ (সিসিপিসি) জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হালদা নদী বাংলাদেশের মিঠাপানির মাছের একটি গুরুত্বপূর্ণ জলজ বাস্তুতন্ত্র। এই বাস্তুতন্ত্রে রয়েছে ছোট-বড় ৯৩ প্রজাতির মাছ, চিংড়ি ও গাঙেয় ডলফিন।
হালদা নদী মেজরকার্প জাতীয় মাছের রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ একটি অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। দেশের অন্যতম এই প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে বর্তমানে চলছে কার্পজাতীয় মাছের ভরা প্রজনন মৌসুম। প্রজনন মৌসুমে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন মাসের অমাবস্যা ও পূর্ণিমার তিথিতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতসহ পানির বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক প্যারামিটারের (পানির তাপমাত্রা, পানির স্রোত, পানির স্তর, তড়িৎ পরিবাহিতা, টারবিডিটি, দ্রবীভূত অক্সিজেন, পিএইচ ইত্যাদি) মিত্রস্ক্রিয়তায় হালদা নদীতে কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি