চট্টগ্রাম: আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আমৃত্যু দেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন, পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে কলম ধরেছেন সাহসিকতায়।
শুক্রবার (১৯ মে) মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম - বৃহত্তর চট্টগ্রামের উদ্যোগে বরেণ্য বাঙালি, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, গাফ্ফার চৌধুরী মুক্তবুদ্ধি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের স্বপক্ষে জনমত গড়ে তুলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে লিখেছেন কলাম-গল্প-কবিতা- উপন্যাস। বহুমাত্রিক কলমযোদ্ধা আবদুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট। একুশের অমর গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরীর হৃদয়জুড়ে বিরাজ করতো প্রিয় মাতৃভূমি; যা তার লেখনীতে প্রকাশ পেয়েছে সবসময়। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে '৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, '৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় তার লেখনী; তার অবদানের কথা আমরা ভুলিতে পারি না। বিশ্বখ্যাত একজন বরেণ্য সাংবাদিক হিসেবে তার অবদান বাঙালি জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে অনন্তকাল।
নগরের সংগঠন কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী।
প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার। আলোচনা করেন আবদুল মালেক খান, অ্যাডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, কামাল উদ্দিন, রাজীব চন্দ, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, শিলা চৌধুরী, এমএ খালেক, এসএম রাফি, মিশু সেন, শাহরিয়ার মুনতাসীর মাহি, প্রান্ত রায়, মোহাম্মদ আকবর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি