ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিএসটিআই’র কার্যক্রম জোরদার করতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিএসটিআই’র কার্যক্রম জোরদার করতে হবে

চট্টগ্রাম: অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেছেন, উৎপাদন ও বিপণনের প্রতিটি ধাপে পণ্যের মান বজায় রাখার জন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সচেষ্ট থাকতে হবে এবং বিএসটিআই এ ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিএসটিআই’র কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

 

শনিবার (২০ মে) বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিএসটিআই চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এবারের বিশ্ব মেট্রোলজি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় 'পরিমাপ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার সহায়ক’।

সারাবিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এ বছরে দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য।  
আলোচনা সভার সভাপতি বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, চট্টগ্রামের পরিচালক প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম পণ্যের গুণগতমান ও পরিমাপের সঠিকতা নিশ্চিতকরণের জন্য বিএসটিআই সর্বস্তরের মেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন ও বাস্তবায়ন, এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যবহৃত ওজন ও পরিমাপক যন্ত্রপাতির ভেরিফিকেশন এবং ক্যালিব্রেশন, মোড়কজাত পণ্যের বিধিমালা অনুযায়ী পণ্যের মোড়ক সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান।

বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মান নিয়ন্ত্রণের অভাব থাকলে বাজারে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে, এতে অসাধু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা বাড়বে এবং প্রকৃত উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হবেন। বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন নিম্নমানের বৈদ্যুতিক তার ব্যবহারের ফলে অগ্নিকাণ্ডের প্রবণতা বাড়ছে, এ ব্যাপারে বিএসটিআই এবং জেলা প্রশাসনকে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।  

চট্টগ্রাম  চেম্বার অব কমার্সেরর পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বলেন, ব্যবসায়ীরা ডলার সংকট, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হওয়ায় ভোক্তা পর্যায়ে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।  

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), চট্টগ্রামের সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, বর্তমানে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও ভোক্তাদের ঠকনোর যে প্রতিযোগিতা চলছে তা রুখে দিতে বিএসটিআইসহ সরকারের অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও জেলা প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে চট্টগ্রাম বিএসটিআই’র কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে।  

মুক্ত আলোচনায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ, ইউনিলিভারের প্রতিনিধি মো. রিফাত মাহমুদ, বনফুলের প্রতিনিধি মো. আমানুল আলম, ফুলকলি গ্রুপের প্রতিনিধি এম এ সবুর এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা বলেন, ব্যবসায়ীদের পণ্যের গুণগত মান ও পরিমান নিশ্চিত করণে বিএসটিআইর পাশাপাশি সব বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সমন্বিত প্রচেষ্টা  জোরদার করতে হবে। একই সঙ্গে বাজারে পণ্যের মূল্য যাতে ভোক্তা পর্যায়ে সহনশীল থাকে এ ব্যাপারে সরকারি দপ্তরগুলোর নজরদারি বৃদ্ধির ব্যাাপারে তারা জোর তাগিদ দেন, একই সঙ্গে ভোক্তাদেরও বিএসটিআই’র মানচিহ্ন ছাড়া পণ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক (মেট) মো. মাজাহারুল হক ওজন ও পরিমাপের ক্ষেত্রে মেট্রিক পদ্ধতির প্রচলনে বিএসটিআইয়ের দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও অবদানের বিষয়টি তুলে ধরেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩ 
এআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।