ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইস্পাহানী-দৃষ্টি বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতা শুরু

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
ইস্পাহানী-দৃষ্টি বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতা শুরু

চট্টগ্রাম: দৃষ্টি চট্টগ্রামের আয়োজনে ও ইস্পাহানী চা’র পৃষ্ঠপোষকতায় “ইস্পাহানী-দৃষ্টি ব্রেইনস্টর্মিং” বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতার ১২তম আসরে বসেছে শিল্পকলা মিলনায়তনে।  

বুধবার (২৪ মে) বিকেলে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ।

 

অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন বিজিএমইএর প্রথম সহ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. আদনান মান্নান, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুল মালেক ও র‌্যাংকস এফসি প্রোপ্রাইটিস ডেপুটি ম্যানেজার মাকের্টিং ওয়াজিউদ্দিন মিলন ।  

দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল, সহ সভাপতি সাবের শাহ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না, যুগ্ম স¤পাদক কাজী আরফাত, রিদোয়ান আলম আদনান, সাংগঠনিক স¤পাদক মুন্না মজুমদার ও প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী সাখাওয়াত হোসেন মজুমদার।

 

অনুষ্ঠানে নোমান আল মাহমুদ বলেন, তরুণেরা যদি মনোযোগী হয়, তাদের মস্তিষ্কের যথার্থ অণুরণন ঘটায় তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু আসবে। আর ব্যবসার মূল উদ্দেশ্যই হল কোনো জিনিসের ভালো খারাপ দিকগুলো খুঁজে বের করা। আর এর জন্য দরকার ছোট বড় সবার সাথে আলোচনা করা। তাহলেই অভীষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে সমর্থ হবে তোমরা।

তিনি আরও বলেন সফল হওয়ার জন্য সুপ্ত প্রতিভা গুলো খুঁজে বের করে বিকশিত করতে হবে। বিভিন্ন নতুন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকলে এই প্রতিভাগুলো বেবিয়ে আসে। তাই এই লক্ষে সমাজকে একই সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে দৃষ্টি চট্টগ্রাম।  

সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের তরুনেরা প্রধানত যে জায়গায় বাধাগ্রস্ত হয় তা হচ্চে আত্মবিশ্বাসের সাথে কোনো কিছু প্রকাশ করতে না পারা। ব্রেইনস্টর্মিং মত কার্যক্রম গুলো শিখাচ্ছে নতুন কিছু তৈরি করা, সমস্যার সমাধান করা, যা কর্ম জীবনে নতুনদের এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।  

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুল মালেক বলেন, এখনকার প্রজন্ম অনেক বেশি সৌভাগ্যবান কারণ তারা এই ধরণের বিজনেস আইডিয়ার মত নানা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়ে নিজেদের তৈরী করতে পারছে। আর চট্টগ্রামে এরুপ কার্যক্রম সম্ভব হচ্ছে দৃষ্টি চট্টগ্রামের কারণে।  

দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি আমাদের চারপাশ সমৃদ্ধ না হলে দেশ সমৃদ্ধ হবে না। দৃষ্টির নামের পাশে খেয়াল করলে দেখবেন চট্টগ্রাম লেখা আছে। আমরা চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি বিগত ৩০ বছর ধরে। আমরা আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা থেকে চট্টগ্রামকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।  

সভাপতির বক্তব্যে দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরী বলেন বলেন, প্রতিবছর নতুন নতুন ব্যবসাক্ষেত্র চিন্তা করতে হবে। আগের ব্যবসা সময়ের আবর্তে চৌদ্দপুরুষ ধরে চলার ধাঁচ এখন বদলেছে। আর বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে হিতকর হলো তার নিজের অভ্যন্তরীণ সম্পদের সর্ব্বোত্তম ব্যবহার করা। যেমন: বন্দর, সিল্ক, চা ইত্যাদি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পরে প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমরানুল হক, তাহরিন তারান্নুম, আবদুল্লাহ আল কায়সার, শুভ ঘোষ।

ব্যবসা পরিকল্পনা, প্রসার-প্রচার এবং ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত এটি চট্টগ্রামের এ ধরণের একমাত্র আয়োজন যা বিগত ১২ বছর যাবত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় ২৮টি দল অংশগ্রহণ করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।