ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্বাচন আসলে আপনার খবর হবে: এমএ লতিফ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
নির্বাচন আসলে আপনার খবর হবে: এমএ লতিফ ...

চট্টগ্রাম: বিএনপির এক নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় নেতা হয়েছেন। এই বন্দর পতেঙ্গা (চট্টগ্রাম-১১) আসন থেকে উনি তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন।

জনগণের খবর রাখেনি। জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক তার নেই।
উনি ঢাকায় পাঁচতারা হোটেলে বসে ষড়যন্ত্র করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে, বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে। তাকে বলে দিতে চাই- আসুন প্রতিযোগিতা করুন। নির্বাচন আসলে আপনার খবর হবে। এ আসনের মানুষ আপনাকে দেখার জন্য অপেক্ষা করছে।  

সোমবার (২৯ মে) স্বাধীনতা নারী শক্তি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে চট্টগ্রাম-১১ বন্দর আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফ এসব কথা বলেন। নারীর অধিকার এবং স্বাধীনতা খর্বকারী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পক্ষে পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থান এবং জাতির পিতার কন্যাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এতে কয়েক হাজার নারী অংশ নেন।

এমএ লতিফ বলেন, আজ আমাদের ঘরের মা-বোনেরা বের হয়ে এসেছেন। জামায়াত শিবির রাজাকারদের দোসর বিএনপির নেতারা হুংকার দিচ্ছে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। যারা বিএনপির আমলে এ দেশকে জঙ্গি এবং মৌলবাদীদের ঘাঁটিতে পরিণত করেছিল। যারা এই বাংলাদেশ থেকে প্রতিবেশী ভারতসহ সারা পৃথিবীতে মৌলবাদ ও জঙ্গি রপ্তানি করত। বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় এসে সেই জঙ্গি আস্তানা ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন।  

এমএ লতিফ বলেন, আমাদের মা-বোনেরা পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি প্রশ্ন করতে চায়- ইরানে খোমেনি আসার পর সেখানে গণতন্ত্রের কী অবস্থা হয়েছিল? আফগানিস্তানে মৌলবাদের আস্তানা হয়েছে। পাকিস্তান সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে পরিণত করেছে। বাংলাদেশের মাটিতে কোনো সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদীর স্থান নেই। এটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। এটি শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এটি গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। এটি মৌলবাদের বাংলাদেশ নয়। এটি বাংলাভাইয়ের বাংলাদেশ নয়। আমাদের দেশ জঙ্গিঘাঁটি হিসেবে আর ভবিষ্যতে কোনোদিন ব্যবহার হবে না।  

আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই এই বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের মূল এবং চার নীতির মধ্যে এক নীতি। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ এ চারটি স্তম্ভের ওপর বাংলাদেশের ভিত রচিত হয়েছে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কোনো বিদেশি চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসা বিএনপি আবার পেছনের দরজা খুঁজছে। এই বাংলার মানুষ শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তা প্রতিহত করবে।  

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন নগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মো. আসলাম, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, লবণ শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক কর্মচারী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. ইমাম হোসেন, বন্দর সিবিএর সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবদুর রহিম, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফুল এহসান শাহ, স্বাধীনতা নারী শক্তির পরিচালক মনিকা ভট্টাচার্য্য, সাইকা দোস্ত, রোকসানা আক্তার ভুলু, গুলতাজ বেগম শান্তা, পারভিন আক্তার সোনিয়া, মোহছেনা আক্তার, শাহিনুর আক্তার, আমেনা খাতুন, অধ্যাপক বিবি মরিয়ম, রুনা আক্তার, সৈয়দা ইসরাত জাহান, গোল নাহার, নুর বেগম নুরী, জোলেখা বেগম, হালিমা বেগম, মাহাবুব আরা, জাহিদা আক্তার, শাহনাজ বেগমসহ সহকারী পরিচালক ও ইউনিট নেত্রী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।