ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘জনসংখ্যা কম, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রয়োজন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
‘জনসংখ্যা কম, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রয়োজন’ ...

চট্টগ্রাম: ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর অমিত চাকমা বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার মোট আয়তনের এক তৃতীয়াংশ হলো ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া। এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই উন্নতমানের।

কিন্তু জনসংখ্যা কম থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী প্রয়োজন। অস্ট্রেলিয়ান সরকার শিক্ষা খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে।
এই বিনিয়োগ ফলপ্রসূ করতে বাংলাদেশের শিক্ষা খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চট্টগ্রামে এসেছেন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিদল।  

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।  

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর অমিত চাকমা, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড কমিশনার মিস নাশিদ চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ডিরেক্টর রোবি রব, চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. মুনাল মাহবুব, অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান, মেনটরসের ম্যানেজিং পার্টনার মানজুমা মোরশেদ, বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল সেন্টারের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বক্তব্য দেন।  

মাহবুবুল আলম বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের জনশক্তিকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করতে অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশের সহায়তা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন সেক্টরে বৃত্তির মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার আহবান জানাই আমরা।  

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক ও সমৃদ্ধি করতে দু’দেশের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।  

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড কমিশনার মিস নাশিদ চৌধুরী বলেন, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন। এখানকার অর্থনীতির আকার প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। অস্ট্রেলিয়ান সরকার সবসময় কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ৫০ হাজার ডলার বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। তাই অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থী বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিদল।  

সভায় চেম্বার পরিচালক মো. ওমর ফারুক, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এসএম তাহসিন জোনায়েদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), লুব-রেফের পরিচালক মো. সালাউদ্দিন ইউসুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।