চট্টগ্রাম: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল গৌরবময় কর্মজীবনের বিভিন্ন স্তরে কর্মদক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্বাহী শাখায় ১ জানুয়ারি ১৯৮৮ সালে কমিশন লাভ করেন। কমিশন পাওয়ার পর তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কোর্সে অংশ নেন। একজন অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার স্পেশালিস্ট অফিসার হিসেবে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অপরিসীম অবদান রেখেছেন। তিনি কানাডা থেকে ওয়ার গেম সিমুলেশন কোর্সে, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, ঢাকা থেকে নেভাল স্টাফ কোর্সে এবং ভারতের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ থেকে নেভাল স্টাফ কোর্সে অংশ নেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন পেশাদার কর্মকর্তা হিসেবে তিনি বিভিন্ন স্তরে স্টাফ এবং নির্দেশনামূলক দায়িত্ব পালন করেছেন। যেমন- সদর দপ্তর এবং এরিয়া সদর দফতরের স্টাফ অফিসার, পরিচালক, জুনিয়র স্টাফ কোর্স, ওয়ারফেয়ার ইনস্ট্রাক্টর ইন স্কুল অব মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিকস, ডাইরেক্টিং স্টাফ এবং সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (নৌ), ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ। তিনি সুদানে জাতিসংঘ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সেবায় অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য তিনি নৌবাহিনী থেকে ওএসপি ও এনইউপি পদক লাভ করেন।
রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এলিট ফোর্স র্যাবে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। অসামান্য কর্মক্ষমতার জন্য তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত হন। তিনি কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি), ডিজিএফআই সদর দফতরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ব্যুরো (আইএবি) এবং নৌ সদর দফতরের পরিচালক সাবমেরিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে যোগ দেন এবং পায়রা বন্দরের চ্যানেল ড্রেজিংসহ বন্দরের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন।
সর্বশেষ রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল গত ২ মে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
এআর/টিসি