চট্টগ্রাম: ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কোরবানির হাটে ক্রেতাদের সমাগম ততই বাড়ছে। বেচা-বিক্রিও বেড়েছে পুরোদমে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) নগরের স্থায়ী হাট সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট, কর্ণফুলী গরুবাজার, সল্টগোলা রেলক্রসিং-সংলগ্ন হাট ও দক্ষিণ পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্কসংলগ্ন খালি মাঠ ও পতেঙ্গা লিংক রোড সংলগ্ন খেজুর তলা মাঠের গরুর বাজারে অন্যান্য গরুর চেয়ে দেশি গরুর আধিক্য বেশি দেখা গেছে।
মোহাম্মদ আক্কাস নামের এক ব্যবসায়ী সাতকানিয়া থেকে চারদিন আগে ২০টি দেশি জাতের গরু নিয়ে এসেছেন মইজ্জ্যার টেক গরুর বাজারে। গরুগুলো তিনি নিজস্ব খামারে লালন পালন করেছেন। ইতোমধ্যে ১০টি গরু বিক্রি করেছেন তিনি।
কর্ণফুলি উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকার গরুর বাজারে গিয়ে দেখা যায় সাতকানিয়া লোহাগড়া, চুনতি, খাগড়াবাড়ি, রাঙ্গামাটি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া থেকে নিজস্ব খামারে পালন করা গরু নিয়ে এসেছেন বেপারিরা। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকেও কিছু গরু এসেছে সেগুলোও দেশি জাতের। ভারতীয় গরুর তেমন আধিক্য নেই এ বাজারে।
বাঁশখালী থেকে ১৫ টি গরু নিয়ে রহিম উল্লাহ এসেছেন এক কিলোমিটার এলাকার নুর নগর হাউজিং সোসাইটি গরুর বাজারে। গরুগুলো নিজস্ব খামারে লালন করেছেন তিনি। এখন গরু বেশি বিক্রি না হলেও আজ কালকের মধ্যে সব গরু বিক্রির আশা রহিম উল্লাহর।
তিনি বলেন, সবকিছুর দাম বাড়তি। গত বছর ভুসির কেজি ৩৫ টাকা সে ভুসির দাম এখন ৬০ টাকায়। গরু লালন পালন করতে খবর আগের চেয়ে অনেক বেশি। তাই গরুর দামও বেশি নিতে হচ্ছে। আমাদের গরু নিজস্ব খামারে লালন করা। এছাড়া খোলা বিলে ঘাস খেয়ে বেড়ে উঠেছে গরুগুলো।
রাউজান থেকে আসা মোহাম্মাদ নবী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিজেরাই দেশি জাতের গরু লালন করি। এ বছরে প্রায় সবকটি গরু দেশি জাতের। কিছু গরু আছে যে গুলো ভারতীয় জাতের।
নগরের হাটগুলোতে গরুর ব্যাপক আমদানি। তবে বিদেশি জাতের বড় গরুর চাহিদা কম। দেশি গরুর চাহিদা বেশি। বিশেষ করে ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকার গরুর চাহিদা বেশি।
চট্টগ্রাম নগরের হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা বাবুল আহমেদ বিবির হাট থেকে ৮৫ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন। তিনি বলেন, প্রতিবছর দেশি গরু দিয়ে কোরবানি দেই। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাজারে দেশি গরুর চাহিদা বেশি আবার দামও।
মইজ্জ্যারটেক গরু বাজারের পরিচালক জানে আলম বাংলানিউজকে বলেন, বেচা বিক্রি পুরোদমে শুরু হয়েছে। আমাদের এখানে ১৫ হাজার মতো গরু আছে। আমাদের এখানে প্রায় সব দেশি গরু। অল্পকিছু ভারতীয় জাতের গরু আছে।
বাকলিয়া এলাকা থেকে মইজ্জারটেক হাটে গরু কিনতে আসা সরকারি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরই গৃহস্থবাড়ির গরু কিনে কোরবানি দিই। যদিও এর দাম বেশি। সকাল থেকে হাটে ঘুরছি, কিন্তু পছন্দের গরু পাচ্ছি না। গৃহস্থবাড়ির যেসব গরু পছন্দ হয়, তার দম আগের চেয়ে বেশি বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
বিই/পিডি/টিসি