ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘জাতীয় নির্বাচনের দিকে যখন যাত্রা, তখনই ষড়যন্ত্র শুরু’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
‘জাতীয় নির্বাচনের দিকে যখন যাত্রা, তখনই ষড়যন্ত্র শুরু’ ...

চট্টগ্রাম: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, একটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে যখন জাতি অভিযাত্রা শুরু করেছে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে যখন দায়িত্ব হস্তান্তরের একটি নিউ ডাইমেনশনে যাত্রা শুরু করেছে, সেই মুহুর্তে এই তৎপরতা উদ্বেগজনক। জাতীয় নির্বাচনের দিকে যখন যাত্রা, তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সফরে এসে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি আরও বলেন, সরকারের সামনে একের পর এক চ্যালেঞ্জ আসছে।

শক্তভাবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। সরকার ও দেশবাসীর সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনমুখী দল। বাংলাদেশের সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো প্রস্তুতি আলহামদুলিল্লাহ আমাদের আছে।  

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের নিষ্ঠুর ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে পুরো দেশের মানুষ আজ স্তম্ভিত। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি করছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি। এ হত্যাকাণ্ডে উস্কানি ও সৃষ্ট পরিস্থিতি যাদের জন্য তৈরি হয়েছে তাদের এ তৎপরতা, সাম্প্রদায়িক তৎপরতা, সহিংস এ তৎপরতা এবং দেশের অখণ্ডতাবিরোধী এ তৎপরতা চলতে পারে কিনা- এটা বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের তিন প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের গভীর বিবেচনার সময় এসেছে। তা না হলে জাতির সামনে একটি কঠিন পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে সারা দেশবাসী। এ রকম একটি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মকাণ্ড কি করে চলতে পারে? আমাদের দেশে আইন আছে। সে আইনের ভিত্তিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।

আপনারা এরইমধ্যে দেখেছেন, দেশবিরোধী যে ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত হয়েছে সেখানে পতিত স্বৈরাচারের নেতা-কর্মীরা জড়িত। বিভিন্ন বেশ ধরে কারা এ শান্তিপূর্ণ দেশকে অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে চায়? আবার ফ্যাসিবাদের দিকে নিয়ে যেতে চায়? পুরো জাতির কাছে নানা প্রশ্ন এখন সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের যথেষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা আছে, আমি মনে করি আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থার আধুনিক প্রযুক্তির অনেক ইকুইপমেন্টস ও লজিস্টিক সাপোর্ট, উন্নত প্রশিক্ষণ আছে। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে দেশকে শান্তি দেওয়ার জন্য তাদের সমস্ত অ্যাফোর্ড দিয়ে কাজ করা উচিত। সেটি করলে মানুষ আশাবাদী হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর শাহাজান চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক আমীর ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য জাফর সাদেক, জামায়াত নেতা অধ্যাপক ড. আবু হানিফা নোমান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।