চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা বন্দিরা ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকালে নামাজ আদায় করেছেন। কোলাকুলি করে একে অপরের সঙ্গে করেছেন শুভেচ্ছা বিনিময়।
এসব বন্দীরা কেউ সাজা ভোগ করছেন বছরের পর বছর ধরে। কেউ আটক বিচারাধীন মামলায়।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কারাবন্দীদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বজনরা রান্না করা খাবার নিয়ে আসার সুযোগও পাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে ওয়ার্ডভিত্তিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কারাগারের যমুনা, কর্ণফুলী, পদ্মা, মেঘনা, সাঙ্গু ও হালদা ভবনে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে নামাজ আদায় করেন তারা। নামাজ আদায় শেষে বন্দীদের সেমাই, পায়েস ও মুড়ি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও হাজতি সহ পাঁচ হাজারের বেশি বন্দী রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন জানান, ঈদ উপলক্ষে কারাগারে দুপুরে পোলাও, গরুর মাংস, কোমল পানীয় ও পান-সুপারি দেওয়া হবে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য দেওয়া হবে খাসির মাংস। এছাড়া বিকেল পাঁচটায় তালাবদ্ধ করার আগে দেওয়া হয় রাতের খাবার। এই ম্যানুতে থাকবে সাদাভাত, মাংস ও আলুর দম। ৩২ জন কয়েদি ৬০টি চুলায় রান্নার দায়িত্বে রয়েছে।
তিনি জানান, স্বজনরা বন্দীদের সাথে দেখা করার সুবিধার্থে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সারা বছর কারাবন্দীদের বাইরে থেকে খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকলেও ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পরিবার থেকে আনা খাবার সরবরাহ করারও ব্যবস্থা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সকাল থেকে কারাগারের সাক্ষাৎ কক্ষে জমে দর্শনার্থীদের ভিড়। ঈদের খুশির দিনে স্বজনকে একনজর দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টাও অপেক্ষা করেছেন অনেকে। সাক্ষাতের পাশাপাশি কারাগারের ভেতর থেকে অনেক বন্দী টেলিফোনে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
এসি/টিসি