চট্টগ্রাম: খাতুনগঞ্জের আড়তে সোমবার (১০ জুলাই) পাইকারিতে মুন্সীগঞ্জের আলু বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকা কেজি। কোরবানির পর কয়েকদিন বিক্রি হয়েছিল ৩৪ টাকা, ৩৩ টাকা।
খাতুনগঞ্জের মেসার্স চৌধুরী ট্রেডিংয়ের অন্যতম কর্ণধার টোটন বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির ঈদের পর গাড়ি কম থাকায় ভাড়া পড়েছিল বেশি। এখন যে ট্রাকভাড়া ২০ হাজার টাকা তখন সেটি ছিল ৩০ হাজার টাকা। ওই চালানের আলু আমরা বিক্রি করেছি পাইকারিতে ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর ক্রমে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসে। দামও কমতে থাকে।
তিনি জানান, এক ট্রাকে ২৫০ বস্তায় ১৫ হাজার কেজি আলু আসে। কোরবানির পর থেকে প্রতিদিন গড়ে আমরা এক ট্রাক করে আলু বিক্রি করছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার রিয়াজউদ্দিন বাজারের আলুর আড়তে মুন্সীগঞ্জের সাদা আলু বিক্রি হয়েছে ৩০-৩১ টাকা, লাল আলু ৩২ টাকা।
কাজীর দেউড়িতে রিকশাভ্যানে সবজি বিক্রেতার দাবি তিনি প্রতিদিন ৬০ কেজি আলু কিনে আনেন রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে। বাছাই করা এসব আলুর দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা নেওয়া হয় আড়তে। তিনি খুচরায় বিক্রি করছেন ৪৫ টাকা।
কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে বাছাই করা বড় আলু খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ‘ভারত থেকে আমদানি করা’ নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিয়েছিল আলু। কোরবানির আগে ও পরে প্রশাসনের নজরদারি না থাকা, পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল কমে যাওয়াসহ নানা কারণে আলুর বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল। এখন যেহেতু পাইকারি বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক তাই খুচরা বাজারে মনিটরিং জোরদার করতে হবে ভোক্তাদের স্বার্থে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি