ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাশকতাকারীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করার আহ্বান নাছিরের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
নাশকতাকারীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করার আহ্বান নাছিরের ...

চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম  নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে সর্বস্তরের স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষকে নিয়ে দুর্গ গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিন। যারা নাশকতা চালাচ্ছে, তাদের নাম এবং বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখুন।

আমরা তাদেরকে কিছুতেই ঘরে বাইরে শান্তিতে থাকতে দিতে পারি না। বিএনপি প্রকৃতপক্ষে কোন রাজনৈতিক দল নয়।
এদের জন্ম হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান একজন সেনাপতি। তিনি সেনাবাহিনীর বিধান লঙ্ঘন করে অবৈধ ও অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সুবিধাভোগী ও স্বাধীনতাবিরোধী লোকজনকে নিয়ে যে দলটি গঠন করেছেন, এটি একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মা। তাই মুক্তিযুদ্ধের একটি বিজয়ী শক্তি কখনো তাদের অস্তিত্ব মেনে নিতে পারে না।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চত্বরে বিএনপি-জামায়াতের আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে জানিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, তাদের জানা উচিত এই আগুনে তাদের নিজেদের হাতই পুড়বে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনের সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিএনপি ও তার মিত্ররা এই উদারতাকে দুর্বলতা ভাবছেন। তারা নাশকতা ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছেন। তাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলতে চাই নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির কুমতলবে তাদেরকে আর কোনো সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা আর প্রতিবাদ সভা করবো না, এবার সরাসরি অ্যাকশনে নামবো।  

সভাপতি বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমরা গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এদেশে সংবিধান সম্মতভাবেই নির্বাচন হবে। আমরাও চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তার মানে এই নয় যে আমরা নির্বাচন বানচালকারীদের প্রশ্রয় দেব। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এটি একটি মৃত ইস্যু এবং আদালতের রায়ে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অস্তিত্ব স্থায়ীভাবে বিলীন হয়েছে। বিএনপি যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান তার আগে তাদেরকে সংসদে আসতে হবে। এছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই।  

মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও জাতীয় পরিষদের সদস্য নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নোমান আল মাহমুদ এমপি,  মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য ড. নিছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু, চট্টগ্রাম-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু।  

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শফিক আদনান,  হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী ও  ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩ 
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।