ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্ধের দিনে সরব শিক্ষাঙ্গন, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
বন্ধের দিনে সরব শিক্ষাঙ্গন, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা  ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে শুক্রবার (২৮ জুলাই)।  

এবার চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে পাসের হার ৯৯.৭৯।

জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১০ জন। এসএসসির ফল প্রকাশের পর প্রিয় আঙ্গিনায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার ছুটির দিন। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১১টা। আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা হয়নি তখনো। বন্ধের দিন হলেও স্কুলের মাঠে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় অপেক্ষা করছিল শিক্ষার্থীরা। অনেকে অনলাইনে ফল পেয়ে ছুটে এসেছে প্রিয় আঙ্গিনায়।  স্কুলে আসতেই খুশিতে একে-অন্যকে জড়িয়ে ধরে নাচতে শুরু করে তারা। এবার সেরা স্কুলের তালিকায় নাম উঠে এসেছে কলেজিয়েট স্কুলের। খবর পেয়েই স্কুল প্রাঙ্গণে জড়ো হয়েছে শিক্ষার্থীরা। সঙ্গে এসেছেন অভিভাবকরাও।

২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর নগরের বিভিন্ন স্কুলে ভালো ফলে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।  

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবারই আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা ভালো ছেলেগুলোকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। এবার ১৮০ জন লটারির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। এটি আমাদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা তাদেরকে এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে নিত্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতাম। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা চলেছে। তাই আজ আমাদের শিক্ষার্থীরা সফল।  

ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মুহাম্মদ আফছার উদ্দিন রাজু বাংলানিউজকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির পর এবারই তারা সব বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে এবং পরিপূর্ণ সময়ে। তাই একটু বেগ পেতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।  আমাদের শিক্ষার্থীরা কঠোর পরিশ্রম করেছে।  

চট্টগ্রাম কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী সোহরাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের শিক্ষকরা খুবই আন্তরিক। তাদের আন্তরিকতার ফলে আজ আমাদের এই সফলতা। তাদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞতা। জীবনের একটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিজেকে নিয়ে যেতে পেরেছি বলে মনে হচ্ছে। আমার মা-বাবা ও শিক্ষকরা আমার জন্য যে পরিশ্রম দিয়েছেন সেটি সফল হয়েছে।  

ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনিকা রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পড়ালেখা সংক্রান্ত সব বিষয়ে আমাদের শিক্ষকরা অনেক বেশি যত্নবান ও আন্তরিক ছিল। পড়ালেখা সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা সহজেই সমাধান করে দিতেন। বাসায় চর্চা করার পরামর্শ দিতেন। আমরাও তাদের কথা মেনে চলেছি। যার কারণে আজ আমরা সফল হয়েছি।

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৮৭.৫৩ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন, গতবছর ছিল ১৮ হাজার ৬৬৪ জন। এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে।

২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২১৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে, এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৫টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।