চট্টগ্রাম: একদিকে রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি অন্যদিকে থৈ থৈ নিম্নাঞ্চল। কোথাও সড়কের ওপর হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমর সমান।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে ৪৮ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছেন পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৬১ দশমিক ৪ মিমি বৃষ্টি।
এ তথ্যের সঙ্গে মিলে যায় আগ্রাবাদে অফিস শেষ করে টেম্পুতে করে কাজীর দেউড়ি আসা আজমল হোসেনের বক্তব্যে। তিনি বলেন, সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল। ছাতা নিয়ে বের হয়েছিলাম। দিনভর কখনো ঝড়ো হাওয়া, কখনো রোদ-বৃষ্টি। দুপুরের খাবার খেতে অফিস থেকে বের হয়ে দেখি নিচু সড়কগুলোতে পানি থৈ থৈ করছে। আর বিকেলে অফিস শেষ করে দেখি প্রচণ্ড বৃষ্টি। থামার লক্ষণ নেই। ভিড় ঠেলে টেম্পুতে উঠতে পারলেও বৃষ্টির তেজ এত তীব্র ছিল ভিজে জবুথবু হয়ে গেলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক, শান্তিবাগ আবাসিক, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরের নিচু এলাকার সড়কগুলোতে হাঁটুপানি উঠেছে জোয়ারের সময়। এসব এলাকার দোকানপাট, বাসাবাড়ি, অফিসের লোকজনের মধ্যে আরও পানি ওঠার আশঙ্কা ছিল সারা দিন।
মো. জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কর্ণফুলী নদীতে ভাটা শুরু হয়, সকাল সাড়ে ৭টায় জোয়ার শুরু হয়। বেলা ১টা ৩ মিনিটে জোয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে এবং ভাটা শুরু হয়। রাত আটটার পর আবার জোয়ার শুরু হবে। যদি নদীতে জোয়ার থাকে এবং ওই সময় ভারী বৃষ্টি হয় তাহলে নগরের বৃষ্টির পানি নামতে না পেরে নিচু এলাকায় পানি উঠে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি