ঢাকা, শুক্রবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডেঙ্গুর চিকিৎসায় স্যালাইন সংকট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
ডেঙ্গুর চিকিৎসায় স্যালাইন সংকট ...

চট্টগ্রাম: ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে স্যালাইনের চাহিদা। এই চাহিদাকে পুঁজি করে একদিকে বেড়েছে দাম, অন্যদিকে দেখা দিয়েছে সংকট।

সরকারি হাসপাতালে রোগীদের জন্য বিনামূল্যে স্যালাইন সরবরাহ করা হয়। বেসরকারি হাসপাতালে চাহিদা অনুযায়ী বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে হয় শিরায় প্রয়োগের ডিএনএস (ডেক্সট্রোজ নরমাল স্যালাইন) স্যালাইন।

সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিডেট (ইডিসিএল) বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি এক্‌মি, পপুলার, ওরিয়ন, বেক্সিমকো, স্কয়ার, লিব্রা ও অপসোনিন এর কাছ থেকে স্যালাইন কিনে সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করে থাকে। সংকট দেখা দেওয়ায় গোপালগঞ্জে নিজস্ব কারখানায় স্যালাইন উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ইডিসিএলের কর্মকর্তারা।  

ডিএনএস স্যালাইনের দাম মাত্র ১০০ টাকা হলেও বিভিন্ন ফার্মেসিতে বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। সম্প্রতি চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি ওষুধের বাজার হাজারী গলিতে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে ১৫০ লিটার ডিএনএস জব্দ করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ডেঙ্গু রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিএনএস এর চাহিদাও বেড়েছে। বাড়তি চাহিদার সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে ফেলছে।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগে দুই ইউনিটের ডেঙ্গু ব্লকে গতকাল পর্যন্ত ২৮ জন শিশু ভর্তি ছিল। এখানে শয্যাসংকটের কারণে দুই শিশুকে এক বিছানায় রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি ভবনের ৮ম তলায় অর্ধশত শয্যার আলাদা  ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতালেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আর বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে রোগী। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৮৯ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে ৫৯ জনের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব মতে, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৭। মারা গেছেন ২৭ জন।

সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গেছে, স্যালাইন সংকট চলছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কেউ অবৈধভাবে মজুত করলে ব্যবস্থা নিবে জেলা প্রশাসন’।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বাজারে ডিএনএস স্যালাইনের সংকট রয়েছে। আমরা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলবো। বাজারে স্যালাইনের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নজরদারি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৩
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।