চট্টগ্রাম: অবাঞ্ছিত ইন্টার্ন চিকিৎসক বা কোনো বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী চমেক ছাত্রাবাস বা ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে প্রবেশ বা অবস্থান করলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৫ আগস্ট) চমেকের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্তে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চমেকে ছাত্রাবাস বা ক্যাম্পাসে বহিরাগত, অনাবাসিক, নির্দেশ অমান্য করে কোন ইন্টার্ন চিকিৎসক কোনো ছাত্রাবাস বা কলেজ ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে প্রবেশ বা অবস্থান করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের কোনো শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী বা অবাঞ্ছিত ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে দলবদ্ধভাবে ক্যাম্পাসে বা হোস্টেলে অবস্থান করতে দেখা গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ২ আগস্ট অবৈধভাবে দখলে থাকায় চমেক প্রধান ছাত্রাবাসের ১২-বি কক্ষ থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক আসেফ বিন তাকিকে মালামালসহ হোস্টেল থেকে বের করে দেন কলেজ প্রশাসন। এসময় বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম জয় ও অভিজিত দাশের দখলে থাকা দুটি কক্ষও সিলগালা করে দেন কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে এসব বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক আসেফ বিন তাকি কলেজ প্রশাসন, হোস্টেল তত্ত্বাবধায়কসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংবাদ প্রকাশ করায় মিডিয়ার কর্মীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা ও অপ্রপ্রচার চালায়।
চমেক অধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, নিষিদ্ধ থাকার পরও তাকি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষকসহ সম্মানিত ব্যক্তিদের নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথা-বার্তা ছড়াচ্ছেন। এসব বিষয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চমেক প্রধান ছাত্রাবাসের কক্ষ দখল করে রাখা, কর্মচারীকে মারধর, হোটেল ও ক্যান্টিনে খেয়ে টাকা প্রদান না করা, ক্যান্টিনের ব্যবস্থাপককে মারধর করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা আসেফ বিন তাকি’র বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ৩১ জুলাই ছাত্রাবাসের মেস ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামকে দুই দফায় মরধর করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২৩
এমআর/টিসি