চট্টগ্রাম: এখনো বসানো হয়নি দরজা-জানালা। কোনও কোনও কক্ষের দেয়ালও হয়নি পরিপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) চন্দনাইশের দক্ষিণ হাশিমপুর কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার আশ্রয় কেন্দ্রে দেখা গেছে এমন চিত্র।
গত চারদিনে প্রশাসনের কোনো কর্তাব্যক্তির দেখা পাননি বন্যাদুর্গত মানুষগুলো। আশ্রয় কেন্দ্রে উনুন জ্বলেনি কারও। রাতে রান্না করা খাবার আর কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পেলেও তা ছিল খুবই নগন্য। মাত্র আধা কেজি মুড়ি, আধা কেজি চিড়া, ২৫০ গ্রাম গুড় আর ১ কেজি আলু দেওয়া হয়েছে তাদের।
উপজেলা প্রশাসন থেকে দুই হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে দাবি করা হলেও আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষজন বলছেন, কোনো সহায়তা পাননি তারা।
আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা জেসমিন আখতার বলেন, ‘গত ৪ দিন ধরে এখানে আছি। প্রশাসনের কোনো কর্তা ব্যক্তি আমাদের দেখতে আসেনি। খাবার হিসেবে আমাদের সব মিলিয়ে দুই কেজির মত চিড়া মুড়ি দিয়েছেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যের তুলনায় তা খুবই কম। এর আগে প্রথম দুইদিন কেউ খবরই নেয়নি আমাদের।
নাছরিন নামে আশ্রয় নেওয়া আরেক নারী জানান, এখনও বাড়ি থেকে পানি নামেনি। তাই কষ্ট করে এখানে রয়ে গেছি। এক একটি রুমে তিন-চারটি পরিবার গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। আমাদের কেউ দেখতে আসেনি।
এদিকে, বন্যাদুর্গত পুরো এলাকায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। দূর-দূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে তাদের।
অন্যদিকে মহাসড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। তবে এখনও বান্দরবানের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।
চন্দনাইশ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক বাংলানিউজকে বলেন, শুকনো খাবারের জন্য সরকারিভাবে আড়াই লাখ টাকা ও উপজেলা পরিষদ থেকে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া ৪৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আমরা ২ হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। বৃহস্পতিবারও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
এমআর/এসি/টিসি