চট্টগ্রাম: লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলছে অক্টোবরে। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৬ দশমিক ৫ মিটার চওড়া এই অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশের বেশি।
নগরীর যানজট নিরসনে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে একনেক সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প অনুমোদন পায়। ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে নগরীর সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে কর্ণফুলী টানেলের সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে নিমতলা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারের কাজ শেষ। নিমতলা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের মধ্যে অধিকাংশ জায়গায় ঢালাই শেষ হয়েছে। চলছে রেলিংয়ের কাজ। পতেঙ্গা থেকে সল্টগোলা ক্রসিং পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত আছে। বারিক বিল্ডিং এলাকায় তিনটি স্প্যানের কাজ চলমান রয়েছে। চৌমুহনী থেকে ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির এলাকা পর্যন্ত কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।
চউক সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের অধীনে ৯টি জংশনে ২৪টি র্যাম্প (গাড়ি ওঠানামার পথ) হচ্ছে। এর মধ্যে টাইগারপাসে ৪টি, আগ্রাবাদে ৪টি, বারিক বিল্ডিং মোড়ে ২টি, নিমতলা মোড়ে ২টি, কাস্টম মোড়ে ২টি, সিইপিজেডে ৪টি, কেইপিজেডে ২টি, কাঠগড়ে ২টি ও পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় ২টি র্যাম্প থাকছে। চার লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ের প্রশস্ততা হবে ৫৪ ফুট। এক্সপ্রেসওয়েতে থাকবে আড়াই হাজার এলইডি লাইট।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই সরাসরি যাওয়া যাবে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে। বঙ্গবন্ধু টানেল হয়ে যাওয়া যাবে কক্সবাজার। চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার মাইলফলক প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত হবে এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
এমআর/এসি/টিসি