চট্টগ্রাম: ১১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে হাটহাজারীর মানুষের পাশে থাকার ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার উপ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাশেদুল আলম রাসেল।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নগরীর চট্টেশ্বরী রোডে একটি রেস্টুরেন্টে হাটহাজারী সাংবাদিক ফোরামের সদস্যদের মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী আবুল মনসুর। হাটহাজারী সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামলের সঞ্চালনায় মতবিনিয়ম সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হাটহাজারী সাংবাদিক ফোরামের সহ সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক স ম ইব্রাহীম, দৈনিক নয়াবাংলার নির্বাহী সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী খোকন, ফোরামের কোষাধ্যক্ষ ও কালেরকণ্ঠের ডেপুটি ব্যুরো চীফ নুপুর কান্তি দেব, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ডেপুটি ব্যুরো চীফ মুহাম্মদ সেলিম, ফোরামের নির্বাহী সদস্য ও প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার গাজী ফিরোজ শিবলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী সাংবাদিক ফোরামের সিনিয়র সদস্য মাখন লাল সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন গোস্বামী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বিপ্লব পার্থ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মির্জা ইমতিয়াজ শহীদ শাওন, হাসান মুকুল, আমিন মুন্না, হাবিব রেজা, পার্থ প্রতীম নন্দী, রণী দে, আদর শর্মা প্রমুখ।
হাটহাজারী অবহেলিত উল্লেখ করে রাসেল বলেন, শহরের খুব কাছের উপজেলা হওয়া সত্বেও অনেক পিছিয়ে রয়েছে হাটহাজারী। গত ১৫ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে উন্নয়ন করেনি। কিন্তু অভিভাবকহীন হাটহাজারীর সেই কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়নি। দুই পার্বত্য জেলার প্রবেশমুখ হিসেবে হাটহাজারীর আরো অনেক উন্নয়ন হতে পারতো। রাউজানে টেকনিক্যাল স্কুল হয়েছে কিন্তু হাটহাজারীতে হয়নি। যা আমাদের জন্য খুবই দুঃজনক।
হাটহাজারীর উন্নয়নে ১১ দফার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি জনগণের জন্য রাজনীতি করি। আমার রাজনীতির দর্শন হচ্ছে জনগণের সেবা করা। আমি হাটহাজারীতে প্রত্যেক সপ্তাহে তিনদিন করে সময় দিই। হাটহাজারীর প্রত্যেকটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম করা, সাহিত্য পরিষদ, ক্যারিয়ার গড়ার জন্য হাটহাজারীর কৃতি সন্তানদের নিয়ে কমিটি গঠন, স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণসহ নানা পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
এমআর/টিসি