চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের গর্ব ও অহংকারের প্রতীক। বিশ্বের বিদ্যমান সকল সমস্যার সমাধানকল্পে তিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন পালনোপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবসস্থ বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় ঈর্ষান্বিত দেশিয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মহাজোট একটি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে। এদের একমাত্র কৌশল হলো- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করে একটি অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য স্পষ্টত লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ১-১১ এর মতো আরেকটি ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের সাথে কথিত সুশীল সমাজের অনেকেই যুক্ত হয়েছেন। এদেরকে চিহ্নিত করে রাজপথে মোকাবেলার হিম্মত আওয়ামী লীগের আছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমেরিকা জুজুর ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগের জয়যাত্রা প্রতিহত করা যাবে না। এই আমেরিকা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার পাক বাহিনীর প্রধান সহায়ক শক্তি ছিল। তারা পাক হানাদার বাহিনীর নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে তাদের রক্ষা করার জন্য বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌ-বহর পাঠিয়েছিল। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় সুসম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের জন্ম থেকেই এই দেশটি আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন করার জন্য প্রত্যক্ষ অপচেষ্টা চালিয়েছে। তাদের কাছ থেকে নগদ টাকায় চাল, গম কেনার পরও পণ্যবাহী সেই জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে কৃত্রিম সাময়িক দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল। বাঙালি সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলে যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এ যাবৎকালে বাংলাদেশের যা কিছু সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা আওয়ামী লীগ শাসনামলে সম্ভব হয়েছে। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি গরীব দেশকে পর্যায়ক্রমে স্বলোন্নত, উন্নয়নশীল ও মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার জন্য যে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে তা তাসের ঘরের মতো চুরমার হয়ে যাবে। কারণ আওয়ামী লীগ সবসময় বিজয়ী শক্তির পুরোধা ও প্রতিনিধিত্বশীল উপমহাদেশের প্রাচীনতম গণসংগঠন। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক বিজয় ও ক্ষমতারোহণের লক্ষ্য নিয়ে আমাদেরকে রাজপথে সদা সতর্ক অবস্থান নিয়ে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের আসলাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সৈয়দ মো. জাকারিয়া, আবুল হাসেম বাবুল, ইফতেখার আলম জাহেদ।
সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাজী মো. হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবু তাহের, শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, আব্দুল লতিফ টিপু, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, হাজী রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমদ প্রমুখ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন দারুল ফজল মার্কেট মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা ফজল কবির।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
এসি/টিসি