চট্টগ্রাম: নগরের কোতোয়ালী থানার জমিয়াতুল ফালাহ গেটের সামনে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের নিচে পার্কিং করে রাখা দুটি লোকাল বাসে আগুনের ঘটনায় চট্টগ্রাম-১০ আসনের সাংসদ মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্দেশনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে নগরীর লালখান বাজার মহিউদ্দিন বাচ্চুর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ওয়াসার মোড়, আলমাস সিনেমা হল, কাজীর দেউরি মোড় হয়ে নূর মোহাম্মদ সড়কে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয় হয়ে লালখান বাজার মহিউদ্দিন বাচ্চুর রাজনৈতিক কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের অবরোধ ও বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে ‘বিএনপির নেতারা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ছাত্রদলের গুণ্ডারা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘জামায়াত-শিবির-রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। তা ছাড়া বিএনপি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সামনে থেকে বিএনপির কয়েকটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলাম শামীম বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদল এবং তাদের অনুসারীরা এসব আগুন-সন্ত্রাস করছে। বিএনপি জনসম্পৃক্ততা হারিয়ে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা ক্ষমতার লোভে জনগণের জানমাল নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করছে। বিএনপির চোরা গোপ্তা হামলা চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। তারা আগুন দেওয়ার ক্ষেত্রে চোরা গোপ্তা হামলার পন্থা অবলম্বন করছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সব সময় রাজপথে সজাগ রয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতেও সজাগ থাকবে। কিছুক্ষণ আগে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের নিচে পার্কিং করে রাখা দুইটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা জানান, আওয়ামী লীগের মিছিলের পর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কিছু লোকজন এসে ঢোকার চেষ্টা করে। ওই সময় পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সামনে অবস্থান নিয়ে বিএনপির কিছু ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
এমআই/টিসি/এমজে