চট্টগ্রাম: দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ক্রমে বাড়ছে। খাতুনগঞ্জের আড়তে দেখা গেছে ভারত ও চীনের পেঁয়াজও।
সরেজমিন খাতুনগঞ্জের জনতা এন্টারপ্রাইজে বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে বড় আকারের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৪ টাকা পর্যন্ত।
আড়তদারেরা জানান, একটা সময় চট্টগ্রামের মানুষ পেঁয়াজ আহরণের মৌসুমে দেশি পেঁয়াজ (মুড়িকাটা) খুব বেশি খেত না। তাদের পছন্দ ভারতের মাঝারি আকারের সুন্দর পেঁয়াজগুলো। কিন্তু এবার রেকর্ড দামের কারণে দেশি পেঁয়াজের চাহিদাও বাড়ছে। বিক্রি হচ্ছে বেশ। পাশাপাশি ভারতের পেঁয়াজ এমনকি বড় আকারের সোনালি আবরণের সাদা চীনা পেঁয়াজও চলছে। দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি পাওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন এবং নিঃসন্দেহে নতুন উদ্যমে চাষ বাড়াতে সচেষ্ট হবেন।
খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণি হামিদউল্লাহ মার্কেট আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, সরবরাহ বাড়লে পণ্যের দাম কমে। পচনশীল পণ্য পেঁয়াজের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি প্রযোজ্য। মান, আকার, রং, ঝাঁজ, আমদানি খরচ, পথখরচ ইত্যাদি বিবেচনায় পেঁয়াজের দাম নির্ভর করে।
তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজ এখন মানভেদে ৭৫-৮৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ভারতের পেঁয়াজ ১০০-১০৫ টাকা, চীনা রসুন ২০০-২১০ টাকা, চীনা ও কেরালা আদা ১৬০-১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সমুদ্রপথে জাহাজে পেঁয়াজ আসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র থেকে ছাড়পত্র নিতে হয় আমদানিকারকদের। এ কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, পাকিস্তান ও চীন থেকে পেঁয়াজের চালান অনিয়মিতভাবে আসছে এখন। পেঁয়াজ আসামাত্রই পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাড়পত্র দিতে চেষ্টা করেন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি