চট্টগ্রাম: অপূর্ব ছন্দশৈলী, দুর্দান্ত গতিময় আর আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সে হয়ে গেল ‘ভয়েসেস অব স্প্রিং অ্যান্ড গোল্ডেন ড্রিমস’ বা সোনালি স্বপ্নময় বসন্তের কণ্ঠস্বর। এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে নগরের একমাত্র পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর মেজবান হল হয়ে উঠেছিল এক টুকরা চীন।
বাংলাদেশের চীন দূতাবাস, চীনের ইউনান প্রদেশের তথ্য অফিস ও পররাষ্ট্র দপ্তর যৌথভাবে এ জমকালো অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। ইউনান কালচারাল এক্সচেঞ্জ ডেলিগেশনের শিল্পীরা চীনা ঘরানার নৃত্য, যন্ত্রসংগীত, অ্যাক্রোব্যাটিক্স এবং জাদুবিদ্যার চমৎকার পারফরম্যান্স উপস্থাপন করেন। যা চীনের বসন্ত উৎসব উদযাপনের সময় দর্শকদের উত্তেজনা এবং আনন্দ ছড়িয়ে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের নগর পিতা রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি আশা করেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপ্রতিম সম্পর্ক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
বক্তব্য দেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ইউনান প্রাদেশিক কমিটির প্রচার বিভাগের ভাইস মিনিস্টার পেং বিন।
বিএএফ শাহিন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অঞ্জন দাশ বাংলানিউজকে বলেন, চীনা শিল্পীদের পরিবেশনা খুব সুন্দর হয়েছে। এককথায় কালারফুল প্রোগ্রাম। নিজেদের সুর, সংস্কৃতি তুলে ধরেছে। চীনাদের জন্য সৌভাগ্যের বছর এবার। এটাকে তারা বলছে ইয়ার অব দ্যা ড্রাগন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, দেখে মনে হলো অর্গানাইজড প্রোগ্রাম। চীন বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ফুটে উঠেছে পুরো আয়োজনে। তারা দুই দেশের সম্পর্ক আরও বাড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। চীন বাংলাদেশের অনেক মেগা প্রকল্পে সহায়তা করছে। আশাকরি এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
দুই দেশের শিল্পীদের গাওয়া ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ’-এ গালা শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
এআর/টিসি