চট্টগ্রাম: সড়কের ঝুঁকি এড়াতে নতুন করে পাশে থাকা ৫টি পাহাড় কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এতে বাধ সেধেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
বেলার পক্ষে অ্যাডভোকেট জাকিয়া সুলতানা মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সিডিএ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষসহ ১০ জনের কাছে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
তারা হলেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, সিএমপি কমিশনার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের পরিচালক।
নোটিশে বলা হয়, সিডিএ ইতিমধ্যে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে ১৬টি পাহাড় কেটে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেলেছে। এখন ঝুঁকি নিরসনের অজুহাতে নতুন করে ৫টি পাহাড় কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আদালত ২০১২ সালের ১৯ মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার সব পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালতের এই নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হলেও সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার আবার নতুন করে পাহাড় কাটার সিদ্ধান্ত দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি চরম অবজ্ঞা ও উদাসীনতার শামিল। এ অবস্থায় পাহাড় না কেটে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ের ঝুঁকি নিরসন করা যায়, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে সদস্যদের মতামত নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর শেরশাহ বাংলাবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণে ১৬টি পাহাড় কাটতে হয়েছে। অনুমোদনের চেয়ে বেশি পাহাড় কাটায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সিডিএকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরে আবেদন করলে জরিমানা পাঁচ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। খাড়াভাবে কাটা পাহাড় ধসে বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিরসনের লক্ষ্যে আবারও ৫টি পাহাড় কাটতে চায় সিডিএ।
বাংলাদেশ সময় : ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
এমআর/এসি/টিসি