চট্টগ্রাম: নগরের মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের অধীনে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দক্ষিণ-পশ্চিম র্যাম্প নির্মাণসহ ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে।
নাগরিক সমাজের উত্থাপিত আপত্তি সমাধানের লক্ষ্যে বিশেষত শহীদ মিনারকে আরো দৃষ্টিনন্দন ও দৃষ্টিগোচর করতে এবং সব শ্রেণির মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের উপযোগী করতে এসব সুপারিশ করেছে চসিকের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি৷
বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে কমিটির সদস্যরা “জাতীয় দিবসগুলোতে সাধারণ জনগণের নিরাপদে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুবিধার্থে প্রকল্পের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে একটি নতুন র্যাম্প নির্মাণ এবং র্যাম্পের পেছনে দক্ষিণ পাশে কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, শিমূল জাতীয় দেশীয় গাছ লাগানোর” পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া র্যাম্পের সামনে একটি এসেম্বলি করা ও র্যাম্পের সাইড ওয়াল দুটিতে গাঁথুনি না করে ট্রান্সপারেন্ট রাখা যাতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা না হয়ে শহীদ মিনার দেখা যায়। পূর্বের শহীদ মিনারের বৃহৎ পরিসর শহীদ মিনারের দর্শনার্থী / সকল নাগরিকদের একত্রিত (Assemble) করার জন্য অগ্রভাগ (Porecourt) হিসাবে উন্মুক্ত, সবুজ পরিসর হিসেবে সংরক্ষণ করতে হবে বলে জানান তারা৷
তাদের পরামর্শের মধ্যে আরো আছে - শহীদ মিনারের পাশ্বস্থ দুটি দেয়াল শহীদ মিনার দেখতে বাধাগ্রস্ত করছে।
মেয়র রেজাউল কমিটির সদস্যদের সুপারিশগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন৷ মেয়র সুপারিশগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এসময় কমিটির সদস্যদের মধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম খান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, স্থপতি আশিক ইমরান, স্থপতি সোহেল মোহাম্মদ শাকুর, চসিকের সহকারী স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময় : ২০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি