চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ার পর টিকাদান কার্যক্রম পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে গত এক সপ্তাহে ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
২০২০ সালের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ২৫ মে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে কয়েকদিন ধরে আবারও করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ১৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্তি সাপেক্ষে টিকাদান কার্যক্রমও চালু করা হবে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, করোনা আক্রান্ত কয়েকজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালের ওয়ার্ড প্রস্তুত আছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ করোনার নতুন উপধরন জেএন.১। এটি করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জেএন.১ উপধরনটির দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা আছে। তবে এর তীব্র উপসর্গ দেখা যায় না। আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুঝুঁকিও কম। যেসব অঞ্চলে শীতকাল চলছে, সেখানে শীতকালীন ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ জেএন.১ এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিগগির ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। এই তালিকায় আছেন: সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর বা এর বেশি বয়সী ব্যক্তি, ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সী দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা যেকোনো ব্যক্তি, স্বল্প রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও গর্ভবতী নারী।
পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে মাস্ক পরা এবং করোনার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসক দেখানো এবং সামাজিক দূরত্ব মানার ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
এমআর/এসি/টিসি