চট্টগ্রাম: নগরের ব্যস্ততম নিউমার্কেট এলাকার সড়ক ও ফুটপাত হকারমুক্ত করছে চসিক। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে অভিযান শুরু হয়। এ সময় সিএমপির ২০০ পুলিশ, ৩০ জন র্যাব সদস্য, ২০০ শ্রমিক, বিপুল সংখ্যক চসিকের নিরাপত্তাকর্মী, আনসার অংশ নেন।
অভিযানে সড়ক ও ফুটপাতে হকারদের বাঁশ, চৌকি, খাট, টেবিল জব্দ করে চসিকের গাড়িতে তোলা হয়।
চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অভিযানে সহায়তা করছেন। উচ্ছেদের পর এলাকাটি নজরদারিতে রাখা হবে, যাতে ফের দখল না হয়।
চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু জানান, স্বাধীনতার পর থেকে ফুটপাতে ব্যবসা করে আসছি৷ আজ ৫-৬ হাজার হকারের রুটি রুজিতে আঘাত এসেছে। পুনর্বাসনের দাবি আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় ছিল। বেকারত্ব নিবারণে হকাররা ফুটপাতে শৃঙ্খলার সঙ্গে ব্যবসা করছিল। মেয়র বলেছিলেন- হকারদের পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করবেন না। আজ কথা রাখা হয়নি। রমজান আসছে, এ সময় এটা করা হলো। এটা কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। অনতিবিলম্বে হকারদের সঙ্গে বসে পুনর্বাসনের দাবি জানাই।
স্টেশন রোডে উচ্ছেদ অভিযান
নগরের স্টেশন রোডে সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে চসিক।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে অভিযান শুরু হয়। এ সময় সিএমপির ২০০ পুলিশ, ৩০ জন র্যাব সদস্য, ২০০ শ্রমিক, বিপুল সংখ্যক চসিকের নিরাপত্তাকর্মী, আনসার অংশ নেন। অভিযানে ফুটপাতে গড়ে তোলা বিপুলসংখ্যক সেমিপাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
চসিক মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম বাংলানিউজকে জানান, অবৈধভাবে দোকানপাট, অননুমোদিত স্থাপনা গড়ে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময় : ১২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
এআর/এসি/টিসি