চট্টগ্রাম: বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা।
বিদ্যাদেবীর কৃপালাভের আশায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ঘরে ঘরে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পূজার আয়োজন করা হয়।
পঞ্জিকা মতে, মঙলবার রাত ৮টা ৩৩ মিনিট থেকে পঞ্চমী তিথি শুরু হয় এবং বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত পঞ্চমী তিথি থাকবে। সকালে পূজা শেষে ভক্তদের দেওয়া হয় অঞ্জলি।
মঙলবার সন্ধ্যা থেকে ঢোল-বাঁশি বাজিয়ে, নগরীর বিভিন্ন মণ্ডপে মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া হয় দেবীর প্রতিমা। সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে নগরীতে উৎসবের আমেজ। পাড়ায় পাড়ায়, অলিগলিতে পূজামণ্ডপে পূজার্থীরা মায়ের পাদপদ্মে অঞ্জলি দিয়েছেন। দেবীর সামনে হাতেখড়ি দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা হয়েছে অনেক স্থানে।
তবে শাস্ত্রমতে, এদিন হাতেখড়ি দেওয়ার নিয়ম নেই। পঞ্জিকায় উল্লেখ আছে,‘শ্রীপঞ্চমী শ্রীশ্রীসরস্বতী পূজা ও উৎসবাদনধ্যায়ঃ’। অর্থাৎ উৎসবের জন্য অনধ্যায়। সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত অমল চক্রবর্তীর অভিমত, অনধ্যায় অর্থ বিদ্যাচর্চার সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। বিদ্যার দেবীকে হৃদয়ে স্থাপন করে ধ্যান করাই শাস্ত্রীয় নির্দেশ। হাতেখড়ি দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। এটি অশাস্ত্রীয় এবং ভুল কাজ। বিদ্যারম্ভের জন্য শাস্ত্রে পৃথক দিনক্ষণ নির্দিষ্ট আছে। যদি হাতেখড়ি সংস্কার হিসাবে মানতে হয়, তা হলে সেই মতো দেওয়াই বিধেয়।
এদিকে রামকৃষ্ণ মিশন, তুলসীধাম, চট্টেশ্বরী কালী মন্দির, গোলপাহাড় মহাশ্মশান কালী মন্দির, জামালখান, নালাপাড়া, পাথরঘাটা, গোসাইলডাঙ্গাসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, চমেক, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসটিসি, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ, সিটি কলেজ, কমার্স কলেজ, কলেজিয়েট স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। জেএমসেন হলে পূজার আয়োজন করেছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন মঠমন্দিরে পূজা উপলক্ষে বর্ণিল সাজসজ্জা করা হয়েছে। মণ্ডপে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। চলবে সন্ধ্যা আরতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
এমআর/এসি/টিসি