ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হাজারো পিঠা নিয়ে প্রেস ক্লাবে উৎসব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
হাজারো পিঠা নিয়ে প্রেস ক্লাবে উৎসব চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পিঠা উৎসব।

চট্টগ্রাম: পিঠা-পুলি বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আধুনিক খাদ্যপণ্যের ভিড়ে এই সংস্কৃতি এখনো সমাদৃত।

যা দিনদিন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পিঠা উৎসবরে নানা ধরনের নান্দনিক ও মুখরোচক পিঠা সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
এ ধরনের আয়োজন নতুন প্রজন্মের সঙ্গে আমাদের গৌরবময় সংস্কৃতির সেতুবন্ধন গড়ে তুলবে।  

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব- ফুলকলি পিঠা উৎসবের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।  

ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘ভালোবাসার রঙে রাঙানো’ এ পিঠা উৎসবে প্রেস ক্লাব সদস্যদের সহধর্মিণীদের নিজ হাতে বানানো রকমারি পিঠা প্রদর্শন ও খাওয়ানো হয়। এর মধ্যে ছিল রাজকীয় ভাপা, চিতই, ফুলঝুরি, বিবিখানা, গোলাপ পিঠা, পাক্কন পিঠা, ছাইন্না পিঠা, চিংড়ি পুলি, কিমা ভাপা, নকশি পিঠা, বিনি চাউলের পিঠা, দুধপুলি, মুগ পাকন, মালপোয়া ইত্যাদি বাহারি পদের দেড় হাজারের বেশি পিঠা।  

পিঠা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় উৎসবে বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, ফুলকলির মহাব্যবস্থাপক এমএ সবুর এবং প্রেস ক্লাবের সমাজসেবা আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান। মঞ্চে ছিলেন প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল সরওয়ার, গ্রন্থাগার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ এবং মো. আইয়ুব আলী।  
 
পিঠা উৎসবে সেরা পিঠা নির্বাচন করেন তারকা হোটেল পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের শেফ এনামুল হক। তাকে সহযোগিতা করেন প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য শামীম আরা লুসি ও ইয়াসমিন ইউসুফ। এবার প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন মিসেস মাহবুব উর রহমান, দ্বিতীয় মিসেস গোলাম মাওলা মুরাদ, তৃতীয় মিসেস হাসনাত মোর্শেদ, চতুর্থ মিসেস বিএম মঞ্জুর এলাহী, পঞ্চম মিসেস চৌধুরী ফরিদ এবং ষষ্ঠ মিসেস রাশেদ মাহমুদ। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কৃষ্ণপদ রায়।  

উৎসবে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সনজিত আচার্য্য, সুপ্রিয়া লাকী ও জিয়াউদ্দিন বাদশা।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।