চট্টগ্রাম: মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা বলেছেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় সাক্ষীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। আপোষযোগ্য মামলায় আপোষ নিষ্পত্তির উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মহানগর দায়রা জজ আদালতের উদ্যোগে বার্ষিক জুডিসিয়াল কনফারেন্স-২০২৩ এর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কনফারেন্সে উপস্থিত বিভিন্ন অংশীজন মামলার তদন্ত, বিচারকাজ ও মামলা নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং সাক্ষী উপস্থাপন, মালখানা ইত্যাদিতে বিদ্যমান সমস্যা ও কার্যকর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও মেডিক্যাল সনদ, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও ভিসেরা রিপোর্ট প্রাপ্তিতে বিলম্বের অভিযোগ করেন। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও ঐসব মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান।
অন্যদিকে কনফারেন্সে ২০২৩ সালে বিচারিক কাজে সর্বোচ্চ নিষ্পত্তি, রায় ও আদেশের গুণগতমান এবং বিচার কাজে সততার জন্য ৬ জন বিচারককে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
সম্মাননা পাওয়া বিচারকবৃন্দ হলেন, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.রবিউল আলম, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগম নারগিস আক্তার, যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ রাজিয়া সুলতানা, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম।
চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ রাজিয়া সুলতানা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ পদ মর্যাদার বিচারকবৃন্দ, যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মর্যাদার বিচারকবৃন্দ ও চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক, চট্টগ্রামের মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর জনাব মো. আব্দুর রশিদসহ বিভিন্ন আইন কর্মকর্তাগণ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল মান্নান মিয়া এবং উপ পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
এমআই/টিসি