চট্টগ্রাম: একবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কাবাডি দল এগিয়ে যায় তো পরক্ষণে রেঞ্জ পুলিশ দল। এভাবে দাঁতে দাঁত চেপে শক্তি আর কৌশলের রুদ্ধশ্বাস লড়াই চলতে থাকে ঘণ্টাব্যাপী।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিকেএসপি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বসেছিল ‘চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি গোল্ডকাপ কাবাডি টুর্নামেন্টের’ ফাইনালের এই আসর।
ফাইনাল শেষে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেএসআরএমের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপ ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ।
অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, কাবাডির দেশ বাংলাদেশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তিনি খেলাধুলার প্রতি খুবই আন্তরিক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিবিদ হয়েও খেলাধুলাকে অন্তরে ধারণ করেন। সরকার পরিচালনার পাশাপাশি আমরা যেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্য বয়ে আনতে পারি সেজন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। কাবাডি খেলার মতো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য তিনি সচেষ্ট আছেন।
মিজানুল ইসলাম বলেন, কাবাডি খেলা আমাদের জাতীয় খেলা হলেও এটি দিনে দিনে বিলুপ্তির পথে। এমন সময়ে ডিআইজি সাহেব যখন কাবাডি খেলার আয়োজন হাতে নিলেন আর সেটিতে কেএসআরএমকে পাশে চাইলেন তখন সঙ্গে সঙ্গে তা আমরা লুফে নিয়েছি। আমরা চাই এই ঐতিহ্যবাহী খেলা আবারো তার হারানো অতীত ফিরে পাক।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা বলেন, এ আয়োজনের পেছনে জাতীয় খেলা কাবাডিকে পৃষ্ঠপোষকতা করা যেমন আছে, তেমনি আমাদের উদ্দেশ্যে ছিল
কিশোর-তরুণেরা যেন খারাপ কাজ আর মাদক থেকে দূরে থাকেন।
আলোচনা সভা শেষে দুই দলের হাতে কাপ আর পদক তুলে দেন অতিথিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
এআর/টিসি