চট্টগ্রাম: হয়রানিমুক্ত নাগরিকবান্ধব স্মার্ট ভূমিসেবা প্রদান করার প্রত্যয়ে নতুন রূপে সেজেছে সন্দ্বীপ উপজেলা ভূমি অফিস। এতে সন্দ্বীপ উপজেলা ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ খুশি।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম যোগদান করার মাত্র ৬ মাসেই হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। পুরো উপজেলার খতিয়ান এখন অনলাইন সার্ভারে প্রবেশ করানো হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম আসার পর থেকেই ভূমি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব কমেছে। জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সেবার সবকিছু এখন অনলাইনে। উপজেলা ভূমি অফিসে কোনও আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। শুধু তাই নয় বর্তমান সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি ব্যবস্থা শতভাগ অনলাইন আপডেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, ভূমি সংক্রান্ত কাগজপত্র অনলাইনে আপলোড, বাদি-বিবাদীর সরাসরি শুনানি আরও দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রহণ করা, জমির নামজারিসহ নানামুখি সেবায় পাল্টে গেছে সন্দ্বীপ উপজেলা ভূমি অফিসের চিত্র। বর্তমানে এখান থেকে প্রায় সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা।
সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, ‘সন্দ্বীপে যোগদান করেছি ৬ মাস আগে। যোগদানের পর থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঊর্ধ্বতনদের সহায়তায় ভূমি সংক্রান্ত সকল ফাইল ও সেবা অনলাইনের আওতায় আনা হয়েছে। যিনি সেবাপ্রার্থী, শুধু তাকেই অফিসে আসতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এতে ভোগান্তি থেকে সবাই রক্ষা পাবেন। এছাড়াও যে সেবা অফিস থেকে দেওয়া সম্ভব তাৎক্ষণিক তা দেওয়া হচ্ছে। যেটাতে সময় লাগবে সেক্ষেত্রে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে এসএমএস অথবা ফোনে নির্ধারিত তারিখ বলে দেওয়া হচ্ছে। আর যে সেবা এখান থেকে দেওয়া সম্ভব নয় সেই সেবাপ্রাপ্তির বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে’।
সম্প্রতি কার্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, শুধুমাত্র ভূমি সংক্রান্ত নয়, পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্যও স্থানীয় লোকজন সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর দ্বারস্থ হচ্ছেন। অবৈধ মাটি কাটাসহ ভূমিদস্যুদের অপতৎপরতা বন্ধ করা, পরিবেশ রক্ষায় ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে করা হয়েছে জরিমানা। স্মার্ট ভূমিসেবা প্রদানের লক্ষ্যে স্মার্ট নামজারি, স্মার্ট ভূমি উন্নয়ন কর, রেজিস্ট্রেশন মিউটেশনের আত্মঃসংযোগ, স্মার্ট ভূমি রেকর্ড, স্মার্ট ভূমি পিডিয়া, স্মার্ট ভূমি নকশাসহ অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- একজন অফিসার চাইলে উপজেলার অনেক উন্নতি ঘটাতে পারেন। শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে আমি দায়িত্ব পালন করছি। এ কারণেই ভূমি অফিসের সেবার মান, পরিবেশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। গত ৬ মাসে ১৮ দিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি’।
সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বর্তমান কর্মস্থলে যোগদান করেছিলেন গতবছরের আগস্টে। তিনি ৩৭তম ব্যাচের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। সন্দ্বীপে যোগদানের পূর্বে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তাঁর স্ত্রী একজন চিকিৎসক।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৪
বিই/এসি/টিসি