ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঈদবাজারে নারীর নতুন ভুবন ‘কাঞ্জিলাল’

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
ঈদবাজারে নারীর নতুন ভুবন ‘কাঞ্জিলাল’ ...

চট্টগ্রাম: লিফট থেকে নামতেই চোখে পড়বে বিশাল শাড়ির ভুবন। এ যেন প্লেনের টিকিট, ভিসা, ভ্রমণ খরচ ছাড়াই কলকাতার ঈদবাজারে চলে আসা।

সবাই ব্যস্ত নিত্যনতুন ডিজাইনের শাড়ির খোঁজে। সাধ ও সাধ্যের সীমারেখায় নিজের ও স্বজনদের কেনাকাটা শেষ করছেন নিরিবিলি পরিবেশে।
 

নগরের ঈদবাজারে ফ্যাশন সচেতন নারীদের নতুন ভুবন ‘আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলাল’। দেশের অন্যতম বড় থান কাপড়ের পাইকারি বিপণিকেন্দ্র টেরিবাজারেই ভারতের বিখ্যাত শাড়ির ব্রান্ডটির বিশাল শো-রুম। গত বছরের জুলাই-আগস্টে সপ্তাহব্যাপী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আলো ছড়িয়েছিলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, তমা মির্জা, প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার স্বর্ণালী কাঞ্জিলাল, আশিষ কাঞ্জিলাল এবং কাঞ্জিলালের বাংলাদেশ ফ্রাঞ্চাইজি শিবলী মাহমুদ সুমন। এটি বাংলাদেশে তাদের দ্বিতীয় শাখা।  

লালদীঘির উত্তরপাড়ে ফয়েজ আলী সিটি সেন্টারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলাজুড়ে আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলালের শো-রুম। এখানে আছে নারীর পছন্দের শাড়ির বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের কালেকশন। কুর্তি, লেহেঙ্গা, থ্রিপিস, গাউন, গহনা, ইনার ওয়্যার, ব্যাগ ইত্যাদিও পাওয়া যাচ্ছে।  

কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী মোরশেদা আকতার বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর ঈদে ননদ, ভাবি, মা, শাশুড়িসহ স্বজনদের জন্য অনেক শাড়ি কিনতে হয়। আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলালের শাড়ির আলাদা কদর আছে নারী-হৃদয়ে। তাই এখানে আসা।  

বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, শাড়ির মধ্যে গাদোয়াল সিকো ১১ থেকে ২২ হাজার, পিওর গাদোয়াল ২৫-৪০ হাজার, দিল্লি বুটিকস ৫-২২ হাজার, ইতকাত ২ হাজার ৯৯০-২২ হাজার, বোমকাই ১ হাজার ৬৫০, অপেরা কাতান সাড়ে তিন থেকে ২০ হাজার, কাঞ্জিবরণ ২ হাজার ২৫০ থেকে ৩৫ হাজার, ইন্ডিয়ান জামদানি সাড়ে তিন থেকে পাঁচ হাজার, কাশ্মীরি সিল্ক ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার, হ্যান্ডলুম শাড়ি পিওর কটন সাড়ে তিন থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার, খাড্ডি শাড়ি ৬ থেকে ২২ হাজার, পিওর কাঞ্জিবরণ ১৮ থেকে ৪০, বেনারসি ৮ থেকে ৪৫ হাজার, হাতের কাজ করা বিয়ের শাড়ি ১২ থেকে ৩৫ হাজার, কোটা শাড়ি ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা। এর বাইরে নিত্যনতুন ডিজাইনের শাড়ি আসছে শো-রুমে।  

তিনি জানান, আমাদের শাড়ির অন্যতম বিশেষত্ব হচ্ছে স্টান্ডার্ড মাপ আর কোয়ালিটি। সব শাড়ি স্বর্ণালি কাঞ্জিলালের নিজস্ব ডিজাইনে করা হয়। রমজান উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত শো-রুম খোলা থাকছে। ঈদের আগে সেহেরি পর্যন্ত খোলা রাখা হবে। একদামে বিক্রি করি আমরা। বিক্রির সাত দিনের মধ্যে শাড়ি বদলানোর সুযোগ রয়েছে।  

চতুর্থ তলায় রেডিমেড গার্মেন্টস ফ্লোরে হাতের কাজের ওয়ানপিস ৪ হাজার ৭৫০ টাকা, লেহেঙ্গা ৮ হাজার থেকে এক লাখ, নায়রা ৪ হাজার ৯৫০, থ্রিপিস ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১০ হাজার, ব্যাগ ১ হাজার ৭০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০, জুয়েলারি সেট ২ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকা।  

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।