চট্টগ্রাম: পবিত্র রমজানের শেষ শুক্রবার। এর মধ্য দিয়ে রমজানের বিদায়ের ইংগিত মেলে।
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে চট্টগ্রামের প্রতিটি মসজিদে জুমাতুল বিদার নামাজ আদায় করা হয়েছ।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) জুমার আজানের আগেই কানায় কানায় ভরে যায় বড় বড় মসজিদগুলো। দূরদূরান্ত থেকে গুনাহ মাফ ও দোয়া কবুলের আশায় পছন্দের মসজিদে আসেন তারা। সঙ্গে নিয়ে আসেন বন্ধুবান্ধব ও স্বজনদের।
অনেকে মসজিদের ভেতর জায়গা না পেয়ে সিঁড়ি, সড়ক, মাঠ, ছাদেও জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। এ উপলক্ষে মসজিদগুলোর আশপাশে তসবিহ, টুপি, আতর, মেসওয়াক, পাজামা, পাঞ্জাবির দোকান বসে।
মসজিদের খতিবরা খুতবায় জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তাঁরা আল্লাহর দরবারে ক্ষমা, রহমত, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করেন।
আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদে জুমাতুল বিদার নামাজ পড়তে আসেন পটিয়ার আবদুল করিম। সত্তরোর্ধ্ব এ মুসল্লি জানান, প্রতিবছর এখানে জুমাতুল বিদার নামাজ পড়তে আসেন। তীব্র গরম, যানজট সব বাধা পেরিয়ে যখন মসজিদে পৌঁছেন তখন ভেতরে ঠাঁই নেই। বাধ্য হয়ে বাইরে নামাজ আদায় করেছেন।
নগরের দামপাড়ার জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, হজরত আমানত শাহ (র.) দরগাহ মসজিদ, মিসকিন শাহ (র.) দরগাহ মসজিদ, বায়েজিদ বোস্তামি (র) আস্তানা শরিফ মসজিদ, গরিবুল্লাহ শাহ (র.) মসজিদ, হালিশহর দরবার শরিফসহ প্রতিটি মসজিদে ভিড় ছিল বেশ। মুসল্লি সমাগম বেশি ছিল বড় বড় মাদ্রাসা কেন্দ্রিক মসজিদগুলোতে।
এ ছাড়া ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার শরিফ, আনোয়ারার শাহ মোহছেন আউলিয়া দরগাহ মসজিদসহ পীর আউলিয়াদের মাজার কেন্দ্রিক মসজিদগুলোতে প্রচুর মুসল্লি সমাগমের খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি