চট্টগ্রাম: নগরীর বন্দর থানার মাইলের মাথা এলাকায় একটি কলোনিতে বন্ধুর ২ বছর বয়সী মেয়েকে চুরির ঘটনায় মো. হেলাল (৩৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে নগরীর বন্দর থানার নিমতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মো. হেলাল প্রকাশ জামাল, ভোলা জেলার ভোলা সদর থানার চর চটকিমারা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর ইপিজেড এলাকা থেকে হেলালের সহযোগী মো. ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নগরীর মাইলের মাথা এলাকায় একটি কলোনিতে পোশাককর্মী বিলকিস ৩ সন্তান নিয়ে থাকেন। তার দুই ছেলে, এক মেয়ে। এরা হলেন, শামীম (১৪), রবিউল (৮) ও মেয়ে আয়েশা (২)। বিলকিসের স্বামী ভোলা জেলায় তাদের গ্রামের বাড়িতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান। হেলালের বাড়িও ভোলা জেলায় একই গ্রামে। বিলকিসের স্বামীর বন্ধু হেলাল। গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হেলাল বিলকিসের বাসায় যায়। বিলকিস তখন কারখানায় ছিলেন। বাসায় ৩ সন্তানের মধ্যে শামীম বাইরে বের হয়েছিল। রবিউলকে ২০ টাকা দিয়ে দই কিনতে পাঠায় হেলাল। রবিউল বের হওয়ার পর আয়েশাকে নিয়ে চলে যায় হেলাল। রবিউল বাসায় ফিরে বোনকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার মাকে জানায়। ওই রাতেই বিলকিস থানায় গিয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।
বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কিশোর মজুমদার জানান, ইব্রাহিম ও হেলাল মিলে শিশুটিকে চুরি করে বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু ইব্রাহিমের স্ত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এছাড়া শিশুটি মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কিছু না খাওয়ায় তাকে হেফাজতে রাখা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। শেষমেষ বিক্রির পরিকল্পনা বাদ দিয়ে শিশুর মায়ের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
তিনি আরও জানান, গত বুধবার ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে বিলকিসের মোবাইলে একটি কল আসে। সেখানে মেয়েকে মুক্তি দেয়ার জন্য এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। সেই কলদাতা ইব্রাহিমকে শনাক্ত করে বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে আমরা বিলকিসের মাধ্যমে মুক্তিপণের আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকি। শিশুটির যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য আমরা বিকাশে ৮ হাজার টাকা পাঠাই। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে একজন অটোরিকশা চালকের মাধ্যমে শিশুটিকে সল্টগোলা এলাকায় পাঠানো হয়। বিলকিসসহ আমরা শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় গ্রহণ করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৪
এমআই/টিসি