ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিমের দাম এখনো চড়া, অস্থির সবজির বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৪
ডিমের দাম এখনো চড়া, অস্থির সবজির বাজার ...

চট্টগ্রাম: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডিমের বাড়তি দাম। গরমে মুরগি মারা যাওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

সরবরাহে ঘাটতি না থাকার পরেও ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে দাম নিচ্ছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের।

শুক্রবার (২৪ মে) নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

বাজারে গত সপ্তাহের মতো এখনো বাড়তি ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১৫০ টাকা। আর সাদা ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন। এছাড়া দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১৭০ টাকা।

প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। পটল পাওয়া যাচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। লাউ আকারভেদে প্রতি পিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, লেবু এক হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভারতের পেঁয়াজ ছোট ৬২ থেকে বড় ৭০ টাকা।

মেসার্স মিতালী ট্রেডার্স এর মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, পাবনার পেঁয়াজ আছে আমাদের আড়তে। কেজি ৬৬ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম কম ও মান ভালো হওয়ায় চাহিদা বেশি। দেশি পেঁয়াজের বস্তায় পচা, গলা কম। ৬৪-৬৫ টাকা কেজি। স্পেশাল বড় পেঁয়াজ ৬৮ টাকা।  

চীনা রসুন ১৮৪, দেশি রসুন ১৭৫ টাকা। আল আরব বাণিজ্যালয়ে চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২০৫ টাকা।  

গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি ২৩০-৪০ টাকায়, আর লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-৩৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা করে।

বাজারে রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি আর বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা। এছাড়া পাবদা ৪০০, বড় বোয়াল ৬০০, ছোট বোয়াল ৫০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা ১২০০, কালিবাউশ ৬০০, মৃগেল ২৮০-৩২০, কার্ফু ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর বলেন, আমাদের বাড়তি দরে ডিম কিনে আনতে হচ্ছে। ব্যবসা যেহেতু করছি, আমাদেরও তো ন্যূনতম লাভ করতে হয়। তাই এখনো ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।  

কাজীর দেউড়ি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, মুরগির দাম একটু বাড়তি। গরমের ফার্মে মুরগি মারা যাচ্ছে। তাই সরবরাহ কম। আরও কিছুদিন বাড়তি দামেই মুরগি বিক্রি করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৪ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।