চট্টগ্রাম: চলতি বছরের অন্যতম আলোচিত বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবল থেকে মুক্তি, ২৩ নাবিকের অক্ষত অবস্থায় দেশে ফিরে আসায় বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটি মেরিটাইম বিশ্বে আলোচনায় এসেছে।
জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, দুবাই থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা পণ্য খালাস করে জাহাজটি নতুন ২৩ নাবিকসহ ভারতের বন্দরে পৌঁছে গেছে। এ সময় জাহাজটি খালিই গেছে। সেখান থেকে পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি চীন যাওয়ার কথা রয়েছে।
মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিল। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিল সশস্ত্র জলদস্যুরা। ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যুমুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যায়। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আব্দুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।
গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছিল। কয়লা খালাস শেষে ২৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নতুন ট্রিপের পণ্য লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার (Mina Saqr) বন্দরে যায়। সেখান থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এমভি আব্দুল্লাহ। সোমবার (১৩ মে) জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে ‘জাহান মণি ৩’ নামের লাইটার জাহাজে ২৩ নাবিককে ১৪ মে বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে আনা হয়। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নাবিক ও তাদের স্বজনরা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নাবিকদের বীরোচিত সংবর্ধনা দেয় জেটিতেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি