চট্টগ্রাম: কর্ণফুলী উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী পরিবার ও নদী পাড়ের বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে কর্ণফুলী উপজেলার দেয়াং পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মাসুমা জান্নাত।
কর্ণফুলী উপজেলার ১৮ আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি নারী পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মাসুমা জান্নাত বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়গুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে ১০০ জনের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আরও মানুষকে বুঝিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষের জন্য খাবার থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, মীরসরাই, সীতাকুণ্ড ও কর্ণফুলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে ব্যাপক বর্ষণ ও পূর্ণিমার কারণে তীব্র জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা থাকায় উপকূলবর্তী ও পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি