ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন চট্টগ্রামের অধিকাংশ উপজেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন চট্টগ্রামের অধিকাংশ উপজেলা ...

চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাত থেকেই দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ উপজেলায় ভেঙে পড়েছে গাছ ও ঢালপালা। ভেঙে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছ পড়ে ছিঁড়ে গেছে তার।

যার কারণে সকাল থেকেই বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন চট্টগ্রামের উপজেলাগুলো। এছাড়া নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এতে চরম ভোগান্তি পড়েছেন চট্টগ্রামের মানুষ।  

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, রাউজান, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, মীরসরাই, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, লোহাগড়া, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া, কর্ণফুলী ও চন্দনাইশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক নেই। এসব উপজেলায় সকাল থেকেই বিদ্যুৎ নেই। কিছু কিছু উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও লোডশেডিং চরমে।

জানা গেছে, ঝড়ের কারণে চট্টগ্রামের ৮ উপজেলায় ৭১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে, ৯৫টি খুঁটি হেলে পড়েছে, ৩৪৯ জায়গায় তার ছিঁড়ে গেছে, ২৫টি ট্রান্সফরমার ও ৩৩০টি মিটার নষ্ট হয়েছে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সভাপতি  চৌধুরী হাছান মাহমুদ আকবরী বলেন, তীব্র ঝড়ের কারণে আমাদের অধিকাংশ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে অসংখ্য জায়গায় গাছ পড়ে, তার ছিড়ে ও খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করার জন্য কারিগরি টিম সহ সবাই কাজ করছে। কিন্তু দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কাজের অগ্রগতি মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক করতে আরও সময় লাগতে পারে।

এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে বিদ্যুৎ অফিস ও সাব-স্টেশনে পানি ঢুকে পড়েছে। যার কারণে সকাল থেকে হালিশহর, রঙ্গিপাড়া, শান্তিবাগ, রমনা ও শ্যামলী আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গাছ উপড়ে পড়ায় ও এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নগরের বেশকিছু এলাকায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা রয়েছে।

বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ চট্টগ্রাম দক্ষিণের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বেশকিছু এলাকা সকাল থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছে। অতিবৃষ্টিতে বিভিন্ন ভবনের নিচতলা এবং মিটার ইউনিট পানিতে ডুবে যাওয়ায় এসব এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে রাতে দুর্যোগের কারণে আমাদের লোড ৩৫০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল। এখন সেটি ৬০০ মেগাওয়াটে উত্তীর্ণ হয়েছে।

নগরের দুই নম্বর গেইট, চকবাজার, ওয়াসা, হালিশহর, অক্সিজেন, মাদারবাড়ি, বাকলিয়া, চন্দনপুরা, সররঘাট এলাকার মানুষও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়েছেন।  

এসব এলাকার এলাকাবাসীরা জানান, বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর বিদ্যুৎ আসে আর য়ায়। সোমবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎতের দেখা নেই। এতে বাসাবাড়িতে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে খাবার ও ব্যবহারের পানি তোলা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।